কিছু খাবার আছে, যা বেশ কয়েক বছর আগেও
মানুষ খেতো না, এমনকি এখনও গ্রামের অনেক মানুষ এই খাবারগুলো খেতে দ্বিধাবোধ করে। তেমনি
একটা খাবার লাউ শাক। ছোট বেলাতে লাউ শাক, পাট শাক, কুমড়া শাক, বইত্তা শাক ইত্যাদির
নাম শুনলেই বলতাম, এগুলো গরু ছাগলের খাবার। কিন্তু এখন দেখছি- এসব শাক- লাল শাক, পালং শাক, পুঁই শাকের মতো দারুণ সুস্বাদু
এবং স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
বর্তমানে বাঙালিদের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার
এই শাক শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। এই শাক সিদ্ধ, ভাজি, ভর্তা, ঝোল,
জুস, স্যুপ ও সালাদ বানিয়ে খাওয়া যায়।
অনেক রোগের ঔষধ লাউ শাকের বিস্তারিত । Details of gourd leaf medicine for many diseases |
‘সবার জন্য ব্লগ’ -এ আজকের লেখাতে থাকছে-
“অনেক রোগের ঔষধ লাউ শাকের বিস্তারিত”
লাউ শাকের পুষ্টি উপাদান:
লতা জাতীয় উদ্ভিদ এই শাকে রয়েছে- ভিটামিন
সি, আয়রন, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, জিয়েজ্যান্থিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।
লাউ শাকের ঔষধী গুণ:
লাউ শাকে আছে- ভিটামিন সি যা ঠান্ডা প্রতিরোধক,
এতে থাকা আয়রন লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়, এর বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে, লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন চোখের সমস্যা দূর করে, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম
হাড় শক্ত ও মজবুত করে।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
লাউ শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
·
লাউ শাকে ক্যালরি কম থাকেও এতে কোলেস্টেরল
ও ফ্যাট নেই। তাই যারা নিয়মিত লাউ শাক খাবে তাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে নিশ্চিতভাবেই।
·
যেহেতু এই শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম
রয়েছে সেহেতু আমাদের হৃদযন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই লাউ শাক আমাদের
হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
·
এতে থাকা আয়রন আমাদের দৈহিক রক্তের হিমোগ্লোবিনের
পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, সেই সাথে লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে।
·
লাউ শাকে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়
গঠন করে। হাড় গঠন ও মজবুত রাখে। শরীরের ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামজনিত রোগের আশংকা
থেকে দূরে রাখতে পারে এই শাকটি।
·
অন্যান্য শাকের তুলনায় এই শাকে অধিক পরিমানে
লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন ও বিটা ক্যারোটিন উপাদান বিদ্যমান। ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক
হিসেবে কাজ করে ও চোখের যত্ন নেয়।
·
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য এই শাক
খুব উপকার। এতে থাকা ফাইবার বা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস প্রতিরোধে কার্যকর।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
·
এটি একটি ফলিক অ্যসিড সমৃদ্ধ খাবার। গর্ভে
থাকা শিশুদের স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধি করে। আমরা জানি- ফলিক এসিডের অভাবে
গর্ভের শিশুর স্পাইনাল কর্ড বৃদ্ধি হতে পারে না, ফলে ঐ শিশু প্যারালাইসিস ও মস্তিষ্ক
বিকৃতি নিয়ে জন্মাতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
·
ছোট বড় সকলের ঠান্ডা কাশির জন্য উপকারি এই
শাক। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এসবের যত্ন নেয়।
·
লাউ শাক দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই
যাদের ঘুম কম হয় তারা লাউ শাক খেলে শান্ত মাথায় ঘুমাতে পারবেন। এই শাক মাথা ঠান্ডা
রাখতে ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
সবশেষে বলবো, যে যে ভাবেই বলুক, রোগ হওয়ার আগে রোগ প্রতিরোধ করা জরুরি। তাই প্রকৃতির দেওয়া আশির্বাদের কাছে নিজেদের সপে দিন এবং সবাইকে নিয়ে সূস্থ্য থাকুন। এ কথা আমরা সবাই জানি যে, পৃথিবীর সমস্ত ঔষধ তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে, প্রকৃতি।
আশা করছি আজকের আর্টিকেল-
“অনেক রোগের ঔষধ লাউ শাকের বিস্তারিত”
উপকৃত করতে পেরেছে।
উল্লিখিত
তথ্য অনলাইন ও নিজের জানাশোনা থেকে-
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।