সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারক পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা । Nutritional properties and health benefits of beautifying herbs

 

কথায় আছে, শাকের মধ্যে পুঁই আর মাছের মধ্যে রুই। আমরা বাঙালি- অবশ্যই মাছে ভাতে খুশি থাকি। তারপরও খাবারের পাতে যদি পুঁই শাক থাকে তবে খুশির মাত্রা বেড়ে যাই। পৃথিবীতে প্রায় হাজার রকমের শাক রয়েছে, তার মধ্যে পুঁইশাক দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি স্বাদেও অতুলনীয়। এই শাক ভাজি, তরকারি ও নানান রেসিপি করে খাওয়া যায়। পুঁইশাকের ডাটা দিয়ে নিরামিষ রাঁধলেও খাবারের পুষ্টিগুণের অভাব হয়না।

 সবার জন্য ব্লগ -এ আজকের লেখাতে থাকছে-

সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারক পুঁই শাকের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ, পুঁইশাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা, পুঁইশাকের ঔষধী গুণ, পুঁইশাকের রান্না রেসিপি, পুঁইশাকের ঘরোয়া রেসিপি, পুঁইশাকের প্রাকৃতিক উপাদান,  সৌন্দর্য বাড়াতে পুঁইশাক, পুঁইশাক কেন খাবেন, কাদের পুঁইশাক খাওয়া দরকার, পুঁইশাক কাদের খাওয়া নিষেধ। Nutritional value of Puishak, Health benefits of Puishak, Medicinal properties of Puishak, Cooking recipe of Puishak, Home recipe of Puishak, Natural ingredients of Puishak, Puishak to increase beauty, Why eat Puishak, Who should eat Puishak, Who should not eat Puishak
সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারক পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা 

 

 পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ:

লতা জাতীয় উদ্ভিদ পুঁই শাকে রয়েছে- ভিটামিন এ, বি ও সি। আরো আছে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, পটাসিয়াম ও জিঙ্ক নামক খনিজ পদার্থ।

ভেষজগুণে ভরা পুঁইশাকের পাতা মূত্রকারক। গনোরিয়া রোগে এটি দারুণ উপকারী। অর্শ রোগে অতিরিক্ত স্রাব, অতিসারে এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ছোটদের ঠান্ডা, সর্দি ও কোষ্ঠবদ্ধতায় পুঁই শাকের রস দারুণ কার্যকরী।

 

 পুঁইশাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা:

 ত্বকের সুরক্ষায় পুঁইশাক : আমাদের দেহে ভিটামিন এ এর অভাব হলে ত্বকে ও স্ক্যাল্পের তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। পুঁইশাকে থাকা পর্যাপ্ত ভিটামিন এ এটি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ময়েশ্চার ধরে রেখে ত্বককে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে পুঁইশাক : এই শাকে রয়েছে ক্লোরোফিল। এই উপাদান ক্যান্সারের জন্য দায়ী কার্সিনোজেনিক প্রভাব আটকাতে অতি উপকারী। এই শাকে থাকা ফাইবার কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পুঁইশাক : এই শাকে থাকা পটাসিয়াম দেহের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কারণ পটাসিয়াম দেহের সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। নিয়মিত পুঁইশাক খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

ডায়াবেটিস কমাতে পুঁইশাক : এই শাকে থাকা লিপোইক অ্যাসিড নামে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা রক্তের শর্করার মাত্রা কমায় আর ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি আর অটোনমিক নিউরোপ্যাথি কমায়। 

হাড় গঠনে পুঁইশাক : আমার জানি ভিটামিন কে হাড় গঠনে সাহায্য করে এবং হাড়ের মেট্রিক্স প্রোটিন উন্নত করে। পুঁইশাকে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন কে, হাড়ের গঠন ও ক্যালসিয়াম ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সেই সাথে ইউরিনে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমায়। 

হজম শক্তিতে পুঁইশাক : মুরুব্বি হরহামেশাই বলে থাকে, পুঁই শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। বদহজম থেকে মুক্তি দিতে পারে এই শাক। 

ওজন কমাতে পুঁইশাক : এতে থাকা ভিটামিন সি ও আয়রন সমৃদ্ধ মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া সহজ করে ক্যালরি ক্ষয় করতে সাহায্য করে, ফলে নিয়মিত পুঁইশাক খেলে ওজন কমাতে পজেটিভ কাজ করবে। 

ছানি পড়া রোধ পুঁইশাক :  লুটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সব সময়ই চোখের সুরক্ষা দেয়, এই উপাদান এই শাকে বিদ্যমান। এছাড়াও এই শাকে থাকা আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি চোখের সমস্যা দূর করে। বয়স্কদের দৃষ্টিশক্তি অটুট রাখে ও চোখের ছানি পড়া রোধ করে।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

 

শুক্রানোর সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে পুঁইশাক : এই শাক খাওয়ার ফলে দিনে দিনে শরীরের শুক্রানোর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। পুঁইশাকসহ সব ধরনের সবুজ শাক সবজিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড, আয়রন, জিঙ্ক, ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শুক্রানুকে সূস্থ্য সবল রাখে।

 

যদি বুঝতে পেরে থাকেন যে, স্বাভাবিক ও সূস্থ্য থাকতে পুঁইশাক খাওয়া কতটা জরুরি তাহলে অবশ্যই পরিবারসহ নিজে নিয়মিত পুঁইশাক খান।

 

আশা করছি আজকের আর্টিকেল-   সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারক পুঁই শাকের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতাউপকৃত করতে পেরেছে।

 

উল্লিখিত তথ্য অনলাইন ও নিজের জানাশোনা থেকে-

 ‘সবার জন্য ব্লগ’ এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ