পুরুষজাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন
আরো পড়ুন : কালিজিরার পুষ্টি উপাদান ও ব্যবহারবিধি
নারীর প্রকারভেদ ও চেনার উপায় |
নারীর প্রকারভেদ ও চেনার উপায় (Types of Women and Way to Recognize Them)
তবে খাঁটি সত্য বিষয়টি আগে বলে নিতে
চাই, তা হলো পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশিদিন বেঁচে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৬
সালের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ৭৪ বছর; কিন্তু নারী পুরুষের
আয়ু আলাদা করে গড় আয়ু এসেছে নারী ৭৪ বছর ২ মাস আর পুরুষ ৬৯ বছর ৮ মাস।
পুরুষজাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন
আরো পড়ুন : কালিজিরার পুষ্টি উপাদান ও ব্যবহারবিধি
এর কারণ হিসেবে বৈজ্ঞানিক
যুক্তিগুলো নিম্নরুপ :
ক) জিনগত কারণ।
খ) ভ্রূণগত কারণ।
গ) হরমোনগত কারণ।
ঘ) অভ্যাস ও আচরণগত কারণ।
আসুন শুরু করি, মূল আলোচনা-
নারীর প্রকারভেদ ও চেনার উপায় (Types of Women and Way to Recognize Them)
সৃষ্টি থেকেই নারীর পরতে পরতে রহস্য। সৃষ্টিকর্তা তাদের মাঝে ১৬টি কলা দিয়ে আরো
করেছেন রহস্যময়। এই নারী কখনো মমতাময়ী মা, কখনো দাজ্জাল শ্বাশুড়ী, কখনো ঘরের লক্ষ্মী,
কখনো ছলনাময়ী ধ্বংসলীলার বিষাক্ত ছোবল আবার কখনো বা ভোগ বিলাসের বাহারী পণ্য। কী পারেনা
করতে এই নারী। ইচ্ছে করলে নিজের রূপ যৌবন ও ভালবাসা দিয়ে এক নিমিষে খারাপকে ভাল আবার
ছলা-কলা দিয়ে সাজানো বাগানকে চুরমার করে দিতে পারে। যার কারণে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে
তাজমহল, কবির লেখনী বা অজস্র শিল্পীর কন্ঠে রচিত হয়ে চলেছে অগণিত বিরহের সুর।
সে কারণেই হয়তো সনাতন ধর্মে বাৎসায়ন নারী জাতিকে
৪ শ্রেণিতে বিভক্ত করে রেখেছেন। যথা :
১। পদ্মিনী
২। চিত্রিণী
৩। শঙ্খিনী
৪। হস্তিনী
তবে এর সত্যতা নিয়ে আমি নিজেও প্রশ্ন তুলছি। যাই হোক, বাহ্যিক দেখে আসুন চিনে রাখি নারীকে।
১। পদ্মিনী
: নারীদের মধ্যে পদ্মিনী জাতকেই
শ্রেষ্ঠ ধরা হয়। এই ধরনের নারীর শরীর হয়
আকর্ষণীয় ও সুন্দর। এদের স্তন গভীর, নাকের ছিদ্র ছোট, চুল কোঁকড়ানো হয়, এরা স্বামীভক্ত হয়ে থাকে। প্রার্থনা করতে ভালবাসে। অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ
হয়। অসাধূ ও অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকে। কন্ঠের মিষ্টি ভাষা কোকিলের মতো, বারবার শুনতে
মনে চায়। অতিরিক্ত যৌন সঙ্গম এদের পছন্দ না। সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে পড়ে। এদের শরীরে লোমের
আধিক্য বেশি। শরীর থেকে পদ্ম ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ পাওয়া যায়। এদের হাঁটা বসা শোয়া সবকিছুই
ভাল লাগে, সবকিছুতেই আর্ট ভাব পরিলক্ষিত হয়। ভরা পূর্ণিমায় যেমন স্নিগ্ধ আলো ছড়ায় ঠিক
তেমনি এই জাতের নারীরা তেমন। এক কথায় মনকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তুলতে একজন নারীকে যেমন
রমনী হওয়া দরকার পদ্মিনী নারীরা তেমনটাই হয়।
এদের আয়তলোচন, নারীসূলভ সরলতা, কন্ঠস্বর, হাস্যময় মুখ, ধর্মপরায়ণতা ও পবিত্রতা সর্বোত্তম।
ইসলামিক ও অন্যান্য শিক্ষণীয় গল্প উপন্যাস পড়ুন এখান থেকে
পুরুষজাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন
আরো পড়ুন : কালিজিরার পুষ্টি উপাদান ও ব্যবহারবিধি
২। চিত্রিনী : চিত্রিণী জাতের নারীরা পদ্মিনী নারীদের কাছাকাছি। তবে পদ্মিনীর নারীর চেয়ে এরা দৈহিকভাবে লম্বা হয়। এদের শারীরিক গঠনও আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন ও লাবণ্যময়ী হয়। এদের নাভী সুগভীর, চুল মসৃণ ও ঝলমলে, মুখে মিষ্টি হাসি, কাজের ব্যাপারে অস্থিরতা দেখা যায় না। এরা স্বামী ও গুরুজনদের ভালভাবে শ্রদ্ধা করে। অর্থ বা বিত্ত দ্বারা প্রভাবিত হয় না। ধর্মপরায়ণ হয়ে থাকে। কখনো পরপুরুষে আকৃষ্ট হয়না। অল্প যৌনমিলনে তৃপ্ত থাকে। মিথ্যা কথা বলে না। সৎ পথে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকে এবং অসৎ ব্যক্তিদের একদমই পছন্দ করে না। বেশ রাগী কিন্তু সরল মনের অধিকারী চিত্রিনী জাতের নারীরা। মিষ্টভাষী ও সদা হাস্যজ্জ্বল থাকতে ভালবাসে। দয়া ক্ষমা সততা এসব তাদের অঙ্গের ভূষণ।
নীলকমলের মতো ক্লান্তিময় মুখ, সুদীর্ঘ আয়ত নয়ন, দৃঢ়চিত্তা, সত্যবাদিনী, পতি বাদে অন্য পুরুষে আকৃষ্ট হয় না, সর্বদা ধার্মিক, এরা নারী জাতির মধ্যে উত্তম শ্রেণির।
৩। শঙ্খিনী
: এই জাতের নারীরা
খুব ভোজনবিলাসী হয়। সবসময় খায় খায় ভাব লেগে থাকে তাদের অভ্যেসে। বেশ উঁচু লম্বা হয়ে
থাকে, দেখলে কেমন রাগী রাগী মনে হয়। কেশ লম্বা, নাক কিছুটা উন্নত, সব মিলিয়ে দৈহিক
গঠন মোটামুটি ভাল। এদের দেহে থেকে সর্বদা একধরনের ক্ষারজাতীয় গন্ধ বের হয়। তবে পদ্মিনী
ও চিত্রিণী নারী থেকে বাহ্যিক গঠন সম্পূর্ণ আলাদা হয়। দেহ স্থূল ও স্তন যুগল উন্নত
ও শক্ত শক্ত হয়। এরা ধর্ম পালনে একদমই বিরক্তবোধ করে। জোরে জোরে হেসে থাকে। আশেপাশের
মানুষ শুনে থাকে। এদের লাজ স্মরম কম হয়। নিজ পতি বাদেও অন্য পুরুষদের সাথে দৈহিকভাবে
মিশতে চায়, বিভিন্ন পুরুষের অঙ্গ দেখতে মনে বাসনা থাকে। ঝগড়া ফ্যাসাদ, কু-প্রবঞ্চনা
নিয়ে মেতে থাকে। মিথ্যা বলতে এরা দ্বিধা করেনা। গুরুজনদের ভক্তি করতে জানেনা।
চোখ তেরছা, বড় বড় লোম, চঞ্চলগতি, ধর্মে মত না থাকা, পতি ভক্তিভাব না থাকা, পরপুরুষে আসক্ত। এরা মধ্যম প্রকৃতির।
৪। হস্তিনী
: নামেই পরিচয়।
হস্তিণীর মতো আচরণ, প্রকান্ড ভাব থাকে সবসময়।
নারী জাতির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর নারী এরা। এহেন কাজ নেই যা এরা করতে পারে না। স্বার্থপর
হয় খুব। স্বার্থের জন্য যা খুশি তাই করতে পারে। লাজ লজ্জা একদমই থাকেনা। আচরণ পুরুষদের
মতো। কন্ঠস্বর কর্কশ। পুরূষদের সাথে মিশতে ভালবাসে, পুরুষের সঙ্গ পেলে খুব উপভোগ করে
থাকে। স্বার্থের কারণে বহু পুরুষের সঙ্গী হতে পারে সহজে। খায় খায় ভাবে আশেপাশের সব
ধ্বংস করে দেয়। মায়া মমতা নেই বললেই চলে। পতি ভক্ত মোটেও নয়, বরং এদের ভয়ে স্বামী কাতর
থাকে। মাঝে মাঝে স্বামীর গায়ে হাত তুলতে দ্বিধা করে না। প্রচুর মিথ্যা আর ছল চাতুরীতে
ভর্তি তাদের মন মানসিকতা। এদের চাল চলন আচার ব্যবহার শারীরিক গঠন অন্যসব নারীদের থেকে
সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাথার চুল সামান্য হয়ে থাকে। শরীর থেকে মদের মতো গন্ধ বের হতে থাকে।
চোখ দুটো লাল থাকে, স্তনদ্বয় উচ্চ ও কঠিন এবং মুখে মৃদু হাসি লেগেই থাকে। ভীষণভাবে
স্থূলাঙ্গী হয়ে থাকে। বয়স কম হলেও মুখে বয়সের ছাপ লেগে যায়। এরা গুরুভক্তি বা ধর্মে
একবারেই বিশ্বাসী না, পরকীয়া বা অবাধে পরপুরুষের সঙ্গ নিতে আনন্দ অনুভব করে। জেনা ব্যভিচার
এদের নিত্যসঙ্গী।
স্থূলাঙ্গী, মেদবহুল, স্বার্থান্বেষী, মুখে নির্লজ্জতা, পরপুরুষে আকৃষ্ট এরা নারী জাতের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও নীচ।
উপরোক্ত বিভাজন ছাড়াও নারীকে হস্তরেখাশাস্ত্র বা
সমুদ্রশাস্ত্রমতে ৯ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
ইসলামিক ও অন্যান্য শিক্ষণীয় গল্প উপন্যাস পড়ুন এখান থেকে
পুরুষজাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন
আরো পড়ুন : কালিজিরার পুষ্টি উপাদান ও ব্যবহারবিধি
·
দেবসত্ত্ব।
·
গন্ধর্বসত্ত্ব।
·
যক্ষসত্ত্ব।
·
মনুষ্যসত্ত্ব।
·
পিশাচসত্ত্ব।
·
নাগসত্ত্ব।
·
কাকসত্ত্ব।
·
বানরসত্ত্ব।
· খরসত্ত্ব।
বিদায় নিচ্ছি, কথা হচ্ছে নতুন কোনো বাস্তভিত্তিক বিষয় নিয়ে। ভাল থাকুন আর ভাল রাখুন।
“নারীর প্রকারভেদ ও চেনার উপায় (Types of Women and Way to Recognize Them)” ভাল লাগলে-
অন্যকে
জানাতে শেয়ার করুন।
পুরুষজাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন
ইসলামিক ও অন্যান্য শিক্ষণীয় গল্প উপন্যাস পড়ুন এখান থেকে
আরো পড়ুন : কালিজিরার পুষ্টি উপাদান ও ব্যবহারবিধি
খুবই
ধন্যবাদ “সবার জন্য ব্লগ” –এর সাথে থাকার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।