কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? কাদের হয়? কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারে করণীয় Why is constipation? Whose is it? Constipation remedies

 

আস্ সালামু আলইকুম।

 সবার জন্য ব্লগ -এ আজকের লেখাতে থাকছেকোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? কাদের হয়? কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারে করণীয়” ।

কোষ্ঠকাঠিন্য কি, কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য কাদের বেশি হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য কি ধরনের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য এর উপসর্গ লক্ষণ, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে করণীয়, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে প্রাকৃতিক উপায়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারে ঘরোয়া টিপ্স, কোষ্ঠকাঠিন্য সারাবার মেডিসিন বা ঔষধ, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের ভেষজ ঔষধ, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয় বা উপায়, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচার উপায়, What is constipation, what causes constipation, who is more prone to constipation, what type of disease is constipation, symptoms of constipation, what to do to prevent constipation, natural remedies to prevent constipation, home remedies for constipation, medicine or medicine to cure constipation, herbal medicine for constipation, what to do if you are constipated Or way, way to get rid of constipation
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? কাদের হয়? কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারে করণীয়  Why is constipation? Whose is it? Constipation remedies

 কোষ্ঠকাঠিন্য একটি যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর সমস্যা। কোনো ব্যক্তি যখন সহজে মলত্যাগ করতে পারে না এবং পায়খানা অনেক শক্ত হয়, নিয়মিত মলত্যাগ হয় না, তখন আমরা তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলি। সঠিক খাদ্যাভাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ঔষধ গ্রহণ করতে হয়।

 আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণ বা কেন হয়:

          কোষ্ঠকাঠিন্য হবার কারণ বা কেন হয় তা নিচে তুলে ধরা হলো:

          ১। পর্যাপ্ত পানি পান না করা।

          ২। খাদ্যাভ্যাসে এবং জীবনযাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আনা।

          ৩। সঠিক সময়ে টয়লেটে না গিয়ে পায়খানা চেপে রাখা।

৪। আঁশ জাতীয় খাবার না খাওয়া।

৫। শারীরিকভাবে পর্যাপ্ত কর্মক্ষম না থাকা।

৬। কিছু ঔষধ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী। যেমন: ব্যথানাশক ঔষধ, আয়রণ বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


৭। আইবিএস থাকলে।

৮। ল্যাক্সাটিভের অতিরিক্ত ব্যবহার।

৯। আইবিডি , টিউমার, হার্নিয়া জাতীয় সমস্যা থাকলে।

১০। হরমোনের তারতম্য ও পাকস্থলির টিউমার ইত্যাদি থাকলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য কাদের হয়:

           ১। যাদের মলত্যাগে অসুবিধা হয়, নিয়মিত মলত্যাগ করতে পারে না।

          ২। স্বাভাবিকের চেয়ে যাদের মলত্যাগ কম হয়।

          ৩। যাদের মলত্যাগে সময় বেশি লাগে ও চাপ প্রয়োগ করে মলত্যাগ করতে হয়।  ৪। যাদের মল গুটি গুটি ও শুকনো হয়।

          ৫। যাদের হঠাৎ-ই ক্ষুধা কমে যায় অর্থ্যাৎ ক্ষুধা মন্দা হয়।

          ৬। বমি বমি ভাব যাদের হয়।

          ৭। পেট ফুলে থাকা ভাব আছে যাদের।

          ৮। যাদের পেটে ব্যথা থাকে এবং মলদ্বারে ব্যথা অনুভূত হয়।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here 

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারে করণীয়:

কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে যত্রতত্র বিভিন্ন ঔষধ সেবন করলে উপকারের চেয়ে বরং অপকারই বেশি হয়। তার চেয়ে ঘরোয়াভাবে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকার করা সম্ভব। নিচে অনেকগুলো উপায় তুলে ধরা হলো:

 

১। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হবার সুযোগ দেওয়া যাবে না। শরীর থেকে ঘাম বের হলে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতেই হবে।

২। ডালিয়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকা যায়। এতে আছে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিনসমূহ।

৩। যষ্টিমধু কোষ্ঠকাঠিন্য এর জন্য দারুণ উপকারি। এটি শরীরের হজম শক্তি বাড়ায়। এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ যষ্টিমধু গুঁড়া ও সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।

৪। খাদ্যতালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবার, মৌসুমী ফল ও সবজি রাখতে হবে।

৫। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করতে হবে। এতে হজম শক্তি বাড়ে, শরীরের মেদ ভুড়িও কমে যাবে।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


৬। সাধারণ চা কফি বাদ দিয়ে সবুজ চা, ক্যামোমাইল চা পান করতে হবে। এই ভেজষ পানীয় হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

৭। সকালে ঘুম থেকে উঠে বেশি করে পানি পান করতে হবে। যদি কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যায় অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুবই উপকার পাওয়া যাবে।

৮। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ঘিদুধ বেশ উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে ১ কাপ গরম দুধের সাথে ২ চা চামচ ঘি মিশিয়ে খেতে হবে।

৯। ডুমুর কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে খুবই কার্যকরি। ডুমুর খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে গরম পানিতে। তাহলে এতে থাকা ফাইবারের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং দ্রুত পেট পরিস্কার হয়।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here 

উল্লিখিত সমস্ত তথ্য অনলাইনভিত্তিক।

উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ তুলে ধরা হলো,

সতর্কতা : অবশ্যই ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

সবার জন্য ব্লগ’ এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ