সিজনাল অসুখ, সর্দি- ঠান্ডা জ্বরে করণীয় । Seasonal illness, What to do in case of cold fever

আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!

সবাই সূস্থ্য জীবনে বসবাস করছেন এই প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি নতুন আর্টিকেল, “সিজনাল অসুখ, সর্দি-ঠান্ডা জ্বরে করণীয়

সিজনাল অসুখ, সর্দি- ঠান্ডা জ্বরে করণীয়, ঋতু পরিবর্তনের অসুখ বিসুখ, সিজন চেঞ্জ হওয়ার সময় যেসকল রোগ অসুখ হয়, ঠান্ডা সর্দি জ্বরের ঔষধ, মেডিসিন ও ঘরোয়া চিকিৎসা, সিজনাল অসুখে ঘরোয়া চিকিৎসা, ঋতু বাতাস হাওয়া পরিবর্তনের সময় অসূস্থ্য হলে করণীয়, ঠান্ডা, জ্বর সর্দি হলে কি ঔষুধ খেতে হবে
 সিজনাল অসুখ, সর্দি- ঠান্ডা জ্বরে করণীয় ।  Seasonal illness, What to do in case of cold fever

 
সিজনাল ঠান্ডা জ্বর মানুষের কাছে সুপরিচিত এবং ভয়েরও বটে; গ্রীষ্ম থেকে শীত কিংবা শীত থেকে গ্রীষ্ম এমন করে সিজন বা ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রায় সব মানুষেরই হয়ে থাকে। এটা অস্বস্তিরও বিষয়, কেউ কেউ দারুণ ভয়ে থাকে এ সময়টাতে, কারণ বড়দের পাশাপাশি শিশু বা বাচ্চাদের ভাল পীঁড়া দিয়ে থাকে। সিজন চেঞ্জ বা ঋতু পরিবর্তনের সময় হঠাৎ-ই মানুষের শরীরে তাপমাত্রার হেরফের দেখা দেয়, যা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ আমাদের শরীর সবসময় পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই আবহাওয়া বদল হলে শরীর সেটাকে মানিয়ে নিতে সময় নেয়, এই পরিবর্তনের সময়-ই সর্দি, ঠান্ডা, জ্বর হয়ে থাকে।


Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here 

সিজন বা ঋতু পরিবর্তনের সময় করনীয় :

অনেকেরই ধারনা শুধুমাত্র শীত ঋতু আসার শুরুতে সিজনাল রোগ হয়ে থাকে; আসলে কিন্তু তা না, সিজন চেঞ্জ হওয়ার শুরুতে হয়ে থাকে। আমরা সবচেয়ে যে বড় ভুল করে থাকি, সেটা হলো- নিজেরাই জেনে না জেনে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ নিজে খেয়ে থাকি বা বাচ্চাদের খাওয়ায়ে থাকি। সেসব মেডিসিনের মাত্রা বা প্রয়োগ সঠিক না হওয়ার কারণে অসুখতো ভাল হয়-ই না, বরং দিনের পর দিন কষ্ট পেতে থাকে। তারপর ডাক্তারের কাছে গিয়ে এক গাদা টাকা খরচ করতে হয়। আমরা যদি সাধারনভাবে কিছু বিষয় মেনে চলতে পারি তবে এ সমস্যায় পড়তে হয় না, যেমন :

·     সারা বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে গোসল করা বা বাচ্চাকে গোসল করিয়ে দেওয়া, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ- দুপুর ১২টার মধ্যে নিয়মিত গোসল করা উত্তম।

· সিজন বা ঋতু পরিবর্তনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা, অতিরিক্ত ঘাম যেন শরীরে না শুকায় বা শেষ রাতে শীত শীত অনুভব হলে ফ্যান কমিয়ে দেওয়া বা বন্ধ করা, ভোর বেলা হঠাৎ কুয়াশা পড়া শুরু হলে বাইরে বের না হওয়া।

·         হঠাৎ যদি গলা ব্যথা বা ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব হয়, তবে দেরি না করে কুসুম গরম পানি লেবু মিশিয়ে খেতে হবে, আদা চা খেতে হবে, হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া(গার্গল) করতে হবে, তবে গলায় ব্যথা থাকলে গড়গড়া(গার্গল) করা যাবেনা।


·  দেহকে আর্দ্র রাখতে হবে, তাহলে চট জলদি কোনো ভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না। এজন্য জলীয়ভাগ বেশি রযেছে এমন খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

·      রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিংক উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। জিংক শরীরের ফ্লু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই দুগ্ধজাত খাবার, ছোলা, বাদাম, মসুর ডাল এই ধরনের খাবার খেতে হবে, এসব খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে জিংক উপাদান রয়েছে।

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


·  সিজনাল বা ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা, সর্দি বা জ্বর থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে এমন খাবার নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। যেমন : আদা, রসুন, হলুদ। এছাড়াও চিনি ছাড়া লিকার চা বা গ্রিন টি খেতে পারেন। খেতে পারেন মধু, তুলসি পাতা, লেবু গরম পানির সাথে মিশিয়ে বা চা বানিয়ে।

 

সতর্ক থাকার পাশাপাশি এসময়ে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে, রাতে শোবার আগে গরম দুধ খেতে পারেন, ভালো ঘুম হবে। হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই রুমাল বা হাতের কনুই ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

সিজনাল অসুখ, সর্দি-ঠান্ডা জ্বর প্রতিকারের উপায় :

. সর্দি-ঠান্ডা জ্বর হলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন পড়ে, তাই পানি পান করতে হবে, নয়তো ডিহাইড্রেটেড হলে শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যাবে।

. ফ্রিজের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, গলা ব্যথা হলে অবশ্যই আদা, লেবু দিয়ে চা বানিয়ে খেতে হবে এবং শোবার সময় কাপড় পেঁচিয়ে গলা ঠেকে রাখতে হবে। অবশ্যই ফ্যান অথবা এয়ার কন্ডিশনের বাতাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

. রাতে ঠান্ডা হাওয়া হলে, আলগা শরীরে ঘুমাবেন না, বিশেষ করে ছোটদের অবশ্যই পাতলা জামা পড়িয়ে রাখবেন।

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন, কারণ ব্যায়াম শরীরকে রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ফলে আপনি সূস্থ্য থাকবেন।

. রাস্তায় বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়ে নিতে হবে। মাস্ক পড়ার অভ্যেস গড়লে সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন, কারণ মর্দি- কাশির মূলে হচ্ছে ধূলা বালি।

 

সর্বোপরি নিজেকে সূস্থ্য, সবল ও সতেজ রাখতে হলে সচেতন ও রুচিশীল হতে হবে। নিজে থেকে বুঝলেই বোঝা যাবে যে, যেকোনো কিছুরই যন্ত্রাংশ ভাল রাখতে হলে নিয়মিত পরিচর্যা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি মানব দেহের যন্ত্রাংশ ভাল রাখতে হলে আপনাকে নিয়মিত তার যত্ন নিতে হবে, ভাল খাকুন, ভাল রাখুন, ধন্যবাদ।

 

আশা করছি, সিজনাল অসুখ, সর্দি-ঠান্ডা জ্বরে করণীয় লেখাটি আপনাদের পজেটিভ ভাবনা যোগ করতে পেরেছে।

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here 

নিজে জেনে অন্যকে জানতে শেয়ার করুন, মন্তব্য লিখুন আর সবার জন্য ব্লগ এর সঙ্গেই থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ