ঔষধী গুণের পালং শাকের স্বাস্থ্যকথা । Medicinal health benefits of spinach

 

আস্ সালামু আলাইকুম!

সবার সূস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আজকের নিবন্ধ-

ঔষধী গুণের পালং শাকের স্বাস্থ্যকথা

পালং শাকের পুষ্টি উপাদান, পালং শাকের গুনাগুণ, পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা, পালং শাক কেন খাবেন, পালং শাকের ঔষধী গুণ, পালং শাকের রেসিপি, পালং শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা, পালং শাকে যেসব রোগ সারে, রোগ প্রতিরোধে পালং শাক, পালং শাক কোথায় কখন পাওয়া যায় । Spinach Nutrition Facts, Spinach Benefits, Spinach Benefits, Why Eat Spinach, Spinach Medicinal Properties, Spinach Recipes, Spinach Health Benefits, Spinach Cures Diseases, Spinach For Disease Prevention, Where To Get Spinach
ঔষধী গুণের পালং শাকের স্বাস্থ্যকথা । Medicinal health benefits of spinach


ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে, পৃথিবীতে প্রায় ১০০০ রকমের বিভিন্ন সুস্বাদু শাক রয়েছে। তার মধ্যে পালং শাক অন্যতম পরিচিত এবং স্বাস্থ্যগুণে গুণান্বিত। সাধারনত শীতকালে বাজারে এই শাক ভরপুর থাকে এবং সব শ্রেণি পেশার মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকা একটি শাক। বর্তমানে সারা বছর এই শাকের চাষ হয়ে থাকে।


 

 পালং শাকের পুষ্টি উপাদান:

প্রতি ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ পালং শাকে আছে-
প্রোটিন ২.০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২.৮ গ্রাম, আঁশ বা ফাইবার ০.৭ গ্রাম, আয়রন ১১.২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২০.৩ মিলিগ্রাম, নিকোটিনিক অ্যাসিড ০.৫ মিলিগ্রাম, অক্সালিক অ্যাসিড ৬৫২ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন .০৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ২০৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৯৩০০ আইইউ, ভিটামিন সি ২৭ মিলিগ্রাম এবং থায়ামিন আছে .০৩ মিলিগ্রাম।
 

পালং শাকের ঔষধী গুণ:

পালং শাক প্রতিদিনের খাদ্য আঁশের ২০ শতাংশ পূরণ করে থাকে। শরীরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ ও কে’র অভাবও দূর করে এই শাক। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড, সেলেনিয়াম শরীরে ওজন কমানোর পাশাপাশি অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

পালংয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণের কারণে এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সবুজ এই শাকটি দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে সক্ষম। পালং শাকে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল মানব শরীরের জন্য দারুণ কার্যকর। এই শাকে ক্যালরি কম থাকে বিধায় সব ধরনের মানুষ নিশ্চিন্তে খেতে পারে।

পালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকথা:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পালং শাক : এই শাকে থাকা ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড ক্রিয়া যন্ত্রকে কর্মক্ষম রাখে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।


ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পালং শাক : এই শাকে থাকা ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড দৈহিক বড় বড় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ক্যান্সারে সহায়তাকারী কোষগুলো জন্মাতে বাধা প্রদান করে।


রক্তচাপ কমাতে পালং শাক : এই শাকে থাকা উচ্চমাত্রার ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক রাখে।


চোখের যত্নে পালং শাক : চোখের সুরক্ষার জন্য লুটেনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল উপস্থিত রয়েছে এই শাকে। যার দরুণ দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি রোধ হয়। এতে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।


ক্লান্তি দূর করতে পালং শাক : এই শাকে থাকা উচ্চমাত্রার আয়রন দেহের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন  উৎপাদন করে, এতে থাকা ভিটামিন সি ও ই দৈহিক কর্মক্ষমতাকে উজ্জীবীত করে। এছাড়াও রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকর এই পালং শাক।


 
 ত্বক সুরক্ষায় পালং শাক : এতে থাকা ভিটামিন এ বাইরের আর্দ্রতা বজায় রাখে, ফলে ত্বক থাকে মসৃণ, সুন্দর ও বলিরেখা বিহীন।


প্রদাহ দূর করতে পালং শাক : পালংয়ে থাকা পুষ্টি উপাদান শারীরিক প্রদাহজনিত ক্ষত মেরামত করে। বিশেষ করে যাদের জয়েন্টে ব্যথা হয় তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরি।

 
 ঘা ক্ষত ব্যথা সারাতে পালং শাক : পালংয়ে থাকা ঔধষী উপাদান ঘা, ক্ষত, বিভিন্ন ধরনের ব্যথা সারিয়ে তুলতে খুবই কার্যকরী। ক্ষত স্থানে টাকটা পালং শাকের রস লাগালে দ্রুত নিরাময় মেলে।

চুল পড়া রোধে পালং শাক : যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত পালং শাক খেলে ভাল উপকার পাবেন।



আশা করছি- পালং শাকের গুণের কথা জানার পর নিজে নিয়মিত খাবেন এবং অন্যকেও সাজেস্ট করবেন। আজকের আর্টিকেল-

ঔষধী গুণের পালং শাকের স্বাস্থ্যকথা

থেকে উপকারি কিছু তথ্য উপস্থাপন করতে পেরেছি। সূস্থ্য থাকুন এবং সবার জন্য ব্লগ- এর সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।


তথ্য সংগহ-
অনলাইন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ