সৃষ্টিকর্তার বিশেষ নিয়ামতের অন্যতম নিয়ামত
দুধ। দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কেউই দ্বিধাবোধ করেনি। কোনো
স্তন্যপায়ী প্রাণি জন্মের পর একমাত্র দুধই তার মূল খাবার হয়। আর ইসলাম ধর্ম মা’কে তার শিশুকে দুধ খাওয়ানো ওয়াজিব করেছে। কারণ
একজন মানব সন্তান মা’য়ের শালদুধ ও নিয়মিত দুধ পান করলে তার সারাজীবনের মেধা, বুদ্ধি, আন্তরিকতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পজেটিভ থাকে। আজকের
আর্টিকেলে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় নিয়ে লিখছি “আদর্শ খাবার হিসেবে দুধই সেরা”
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
![]() |
আদর্শ খাবার হিসেবে দুধই সেরা । Milk is the best Ideal food |
সবাই সূস্থ্য আছেন প্রত্যাশা রেখে “হেলথ এন্ড ইজি লাইফ”-এর বার্তায় যোগ করছি, “আদর্শ খাবার হিসেবে দুধই সেরা”। আশা করছি উপকৃত হবেন।
:::: দুধের পুষ্টিগুণ ::::
খাদ্যের প্রধান ৬টি উপাদান একসঙ্গে পাওয়া যায় এই দুধে। সবচেয়ে
বেশি
উপকার
হচ্ছে, শরীর বৃদ্ধি ও হাড় গঠনে। একজন
বাড়ন্ত
শিশুর
হাড়
গঠনে
দুধের
অবদান
অনবদ্য। দুধের
অপরিহার্য পুষ্টি
উপাদানের মধ্যে
ল্যাকটোজেন, যা দৈহিক গঠন, মেধা বিকাশ অত্যন্ত সহায়ক।
গরুর দুধে
আছে
অ্যামাইনো এসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, যেমন : আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ, কোবাল্ট, ক্রোমিয়াম, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম। ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে দুধের ভূমিকা অত্যন্ত শক্তিশালী। গরুর
দুধের
কম্পজিশনে ল্যাকটোজেন ৪.৮ শতাংশ, ফ্যাট ৪.৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩.৫ শতাংশ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ০.৭ শতাংশ ও পানি ৮৫.৫ শতাংশ থাকে। বুঝতেই
পারছেন, একগ্লাস খাঁটি দুধ সকল পুষ্টির আঁধার ও শক্তির উৎস।
প্রশ্ন থেকে
যায়
যে, খাদ্য হিসেবে গরু, ছাগল না কি মহিষের দুধ সেরা? অবশ্যই পুষ্টিমানের বিচারে সব থেকে এগিয়ে মহিষের দুধ। তবে
চিন্তার
কোনো
কারণ
নেই, আপনি গরু, ছাগল, মহিষ যে কোনো ধরনের দুধ পান করেই আদর্শ খাবারের সব পুষ্টি পেতে পারবেন।
:::: দুধের স্বাস্থ্য
উপকারিতা ::::
·
রোগ প্রতিরোধ করে : দুধে
আছে
প্রচুর
পরিমাণে
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, যা আমাদের দেহের খাদ্য চাহিদায় শুধু পূরণ করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
·
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে : প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ পান করলে অন্যান্য খাবারের চাহিদা কমে যায়, ফলে বাড়তি খাবারের ঝামেলা থাকেনা বিধায় ওজন বাড়ার সম্ভবনাও থাকেনা। তবে
আপনার
শরীরে
খাবারের
পুষ্টিমান ঠিকই
বজায়
থাকবে।
·
ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে : যে কোনো ধরনের ক্লান্তি বা অবসাদ শতভাগ দূর করে দেয় দুধ। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে মূহুর্তের মধ্যে শক্তি ফিরে আসবে ও শরীর ভাল লাগবে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
·
ঘুম ভাল হয় : শোবার
আধাঘন্টা পূর্বে
এক গ্লাস গরম দুধ আপনাকে নির্মল ঘুম উপহার দিবে। আর ভাল ঘুম হলে আপনার মস্তিষ্ক শীতল ও ঠান্ডা থাকবে, ফলে শরীর ও মন থেকে দুঃচিন্তা ও মানসিক চাপ দূর হয়ে যাবে।
·
গ্যাস্ট্রিক আলসারে উপশম দেয় : বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি মানুষেরই অ্যাসিডিটি’র সমস্যা বিদ্যমান। নিয়মিত
দুধ
পান
আপনার
পাকস্থলিকে ঠান্ডা
রাখবে
ও হজম শক্তি বাড়িয়ে দেবে। ফলে
গ্যাস্ট্রিক ও আলসার থেকে রেহাই পাবেন, সেই সাথে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া সারিয়ে দিবে।
·
ত্বক উজ্জ্বল করে : দুধের
পুষ্টিগুণ ত্বক
নরম, কোমল ও মসৃণ রাখতে ভীষণ কাজ করে। তাই
প্রতিদিন যারা
দুধ
পান
করে
তাদের
ত্বক
সুন্দর
থাকে।
·
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : দুধে
থাকা
পটাসিয়াম দেহের
রক্তনালী সচল
ও সতেজ রাখে। তাই
রক্তচাপের উঠানামা
হয় না। ফলে
রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
·
চুলের পুষ্টি জোগায় : দুধে
থাকা
ফ্যাটি
অ্যাসিড, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম চুলের পুষ্টিতে দারুণ কার্যকরি। যারা
প্রতিদিন দুধ
পান
করে
তাদের
চুলের
সমস্যা
থাকেনা
বললেই
চলে। তাই যাদের চুল সমস্যা বেশি, তারা নিয়মিত দুধ পান করার অভ্যেস করুন।
·
মাংসপেশি গঠন করে : সব খাবারের সেরা খাবার দুধ। এই দুধে থাকা পুষ্টি উপাদান মাংসপেশি গঠনের জন্য সবার সেরা। তাই
নিয়মিত
দুধ
পান
করা
জরুরি।
·
দাঁত মজবুত করে : দুধে
থাকা
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সব ধরনের বয়সের মানুষের দাঁত মজবুত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
·
চোখের যত্ন নেয় : দুধ
চোখের
সার্বিক
যত্ন
নেয়। চোখের ব্যথা ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তাই গর্ভবতী
নারীদের
জন্য
১ম তিন মাস ২৫০ মিঃলিঃ, পরবর্তী ছয় মাস পর্যন্ত ৩৫০ মিঃগ্রাঃ ও পরবর্তী ৯ মাস দিনে ৫০০ মিঃলিঃ দুধ খাওয়া একান্ত জরুরি।
তাছাড়াও প্রবিণদের জন্য
ননীমুক্ত দুধ
বেঁচে
থাকার
প্রেরণা
জোগাবে।
এর বাইরেও দুধ দিয়ে রুপচর্চা, রুপচর্চার
সামগ্রী তৈরি, বিভিন্ন
ধরনের মজাদার সুস্বাদু খাবারের তালিকা-তো
রয়েছেই।
তাই “আদর্শ খাবার হিসেবে দুধই সেরা” একথা আরো ব্যাখ্যা করার অবকাশ রাখেনা।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
আজ ছাড়ছি, কথা হবে অন্য কোনো লেখার মাধ্যমে। ইনশাআল্লাহ্!
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, “সবার জন্য ব্লগ”
–এর সাথে থাকার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।