বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকরা যে কৌশলে শিক্ষার্থীদের শাসন করবেন । In the current education system, the teachers will discipline the students

 আস্-সালামু আলাইকুম!

সবার জন্য ব্লগ –এর শিক্ষা বিভাগের এই আর্টিকেলে থাকছে,

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকরা যে কৌশলে শিক্ষার্থীদের শাসন করবেন

পেটে বেশ ক্ষুধা, পাতিলে ভাত আছে কিন্তু তরকারি নেই, তরকারি রান্না করে খাবার সময় বা ধৈর্য্যও নেই। সেক্ষেত্রে আপনি/ আমি কী করি? বা বিকল্প ব্যবস্থা কী? মরিচ পেঁয়াজ ড’লে, ভাতে পানি ঢেলে চিনি মিশিয়ে কিংবা ডিম ভেঙে ভাজি করে খেয়ে ফেলি। সারাংশ কি দাঁড়ালো? পেটের ক্ষুধা মিটে গেলো, হয়তো খুব আরাম করে মজা করে খাওয়া হলো না। তবে খাওয়াতো হলো?

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা, যে কৌশলে শিক্ষার্থীদের শাসন করবেন, শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার্থী বা ছাত্র ছাত্রীদের শাসনের উপায় বা কৌশল, শিক্ষার্থী বা ছাত্র ছাত্রীদের শাসনের পদ্ধতি, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী বা ছাত্র ছাত্রীদের শাসনের উপায় বা কৌশল, শেণিকক্ষে যে উপায়ে সফল শিক্ষক হওয়া যায়, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় লেখাপড়া করানোর কৌশল, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বেত বা লাঠি ব্যবহার, অভিভাবক যোগাযোগ । Current education system, the techniques to govern students, classroom management, student control, methods or techniques of governing students or students, methods of governing students or students, methods or techniques of governing students or students in the current situation, ways to be a successful teacher in the classroom, teaching techniques in the current education system, use of cane or stick in modern education system, parent communication
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকরা যে কৌশলে শিক্ষার্থীদের শাসন করবেন

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকতা করা প্রায় দুরূহ ব্যাপার। সমাজ ব্যবস্থা, অনেক অভিভাবকদের কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ/ চাওয়া, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও শিক্ষাঙ্গনে অশিক্ষিত, মূর্খ, আধাশিক্ষিত ব্যক্তির প্রবেশ ও শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করার ফলে নৈতিকতা প্রায় বিলুপ্তির পথে। যেখানে শিক্ষককে দেখলে, শিক্ষকের কথা শুনলে আগের দিনের মতো শ্রদ্ধায় মাথা নতো হওয়ার কথা, না হয়ে বরং এখন শিক্ষকেরা রঙ্গ-ব্যঙ্গ, কটুক্তি, হাসির পাত্রের শিকার। এই দূর্দশার জন্য কিছু অংশের শিক্ষকেরাও দায়ী, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, এ প্রসঙ্গ নিয়ে নতুন লেখায় কথা হবে।

সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন

তবুও দিন দুনিয়ার ভাও বুঝে শিক্ষকতা কীভাবে পেশা হিসেবে নির্ভরতায় থাকা যায় তা নিয়ে আলোচনায় থাকতে চাচ্ছি। প্রতিকুল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে সাফল্য অর্জন করাও শিক্ষকতা পেশার অন্যতম বৈশিষ্ট্য বা সেই সকল শিক্ষকদের ইতিবাচক গুণ। প্রথমেই ভাত খাওয়ার বিষয় দিয়ে যেভাবে শুরু করেছিলাম, সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষকতা পেশাকেও বাঁচিয়ে রেখে নিজে কাজ করে যেতে হবে। দুনিয়া যেমন চায়, রাষ্ট্র যেভাবে নির্দেশনা দেয় আর শিক্ষার্থী অভিভাবকদের চাওয়া বিবেচনায় নিজেকে নিরাপদ অবস্থানে রেখে কাজ করার কৌশল বের করতে হবে। প্রতিকুলতার মধ্য থেকেও নৈতিকতা দিয়ে মানুষ গড়ে তুলতে হবে, বাঁচাতে হবে এই সমাজ, সংসার, দেশ। না হলে নৈতিকতা হারিয়ে ধীরে ধীরে মনুষ্যত্ব অতল গভীরে হারিয়ে যাবে। আর এই দায় থেকে এপার ওপারে আপনি/ আমি মুক্তি পাবো না।

সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন

নিচে  বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকরা যে কৌশলে শিক্ষার্থীদের শাসন করবেন তা তুলে ধরা হলো:

    ·      একজন শ্রেণিশিক্ষক বা বিষয় শিক্ষক হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম শৃংখলার দিকে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঘন ঘন নিয়ম শৃংখলার কথা স্মরণ করিয়ে দিন। 

    ·      অভিভাবক বা শিক্ষার্থী অবাধ্য হলে বা নিয়ম শৃংখলার তোয়াক্বা না করতে চাইলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবহিত করুন।

     ·      প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে সমস্যা আলোচনা করে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তার দায় ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে কৌশলে দিয়ে ফেলুন।

    ·      শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন বাদেও বিভিন্ন কৌশলে শাসন করার ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলো আয়ত্ব করে প্রয়োগ করুন।

    ·      যেহেতু বেত, লাঠি ব্যবহার নিষেধ সেহেতু পজেটিভ শালীন ভাষার মাধ্যমে লজ্জা দিতে পারেন, যেমন: কাজল বা শাহিনার আব্বু ডাক্তার, তোমরাই বলো কাজল বা শাহিনের কী পড়া না করে আসা উচিৎ, তাকে কী ইউনির্ফম, খাতা, ডায়েরি, হোম ওয়ার্ক করে না আনা মানায়? এতেতো তোমার আব্বু শুনলে কষ্ট পাবে, কারন তুমি/ তোমরা ডাক্তারের সন্তান। অথবা তোমার আম্মু/ আব্বু কত সুন্দর পোশাক পরে, কত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, তোমাকেও তোমার আম্মু আব্বুর মতো হতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন

   ·      দুষ্টুমী, অমনোযোগী বা প্রতিষ্ঠানের শৃংখলা মানে না এমন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে সেসব বিষয়ে কথা বলুন, প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান তারপর অভিভাবক, শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সমন্বয়ে আলোচনা করুন, কাউন্সিলিং করুন।

      ·      যেসব শিক্ষার্থী দুষ্টু প্রকৃতির তাদের সাথে বেশি বেশি কথা বলুন, তাদের সাথে মিশতে থাকুন, তারা আপনার ভক্ত হয়ে যাবে এবং ক্লাস বা শ্রেণি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

      ·      যারা দুষ্টুমি করে তাদের দিয়ে বেশি বেশি প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করান।

     ·   যারা শৃংখলার বাইরে থাকতে চায়, তাদের কালো তালিকা করুন। শ্রেণিশিক্ষকের নিকট জমা দিন, শ্রেণিশিক্ষকের সমন্বয়ে তাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের শরানপন্ন হোন।

      ·      দূর্বল একটা কৌশল অবলম্বন করা যায়, কিছু অভিভাবক আছেন যারা কিনা অনুমতি দিয়ে থাকেন –আমার সন্তানকে যেকোনোভাবে শাসন করলে আমার আপত্তি থাকবে না, এমন শিক্ষার্থীর অন্যায়কে সামনে এনে তাকে মাঝে মাঝে ক্লাসের অন্যন্য শিক্ষার্থীর সামনে হালকা পাতলা পেটান (অবশ্যই সহনীয়), দেখবেন ভয়ে অন্যরা সোজা হয়ে যাবে। যেটাকে বলে ‘ঝি-কে মেরে বৌ’কে শেখানো’।

    ·      দুষ্টু শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঝে মাঝে শ্রেণিকক্ষে সামাজিক শিক্ষামূলক মুভি দেখুন। আপনার প্রতি আকর্ষণ বাড়বে এবং শৃংখলায় ফিরে আসবে।

     ·      নিজের ব্যক্তিত্বের দিকে খেয়াল রাখুন। চলা ফেরা, পোশাক আশাক, কথা বার্তা, আই কন্টাক্ট ইত্যাদি পারফেক্ট করে তুলুন। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শিক্ষককে দেখলে এমনিতেই শিক্ষার্থীরা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

     ·      ক্লাসে সবসময় শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত রাখুন, নিজে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়।

     ·      ক্লাসে দাঁড় করিয়ে রাখা, কানে ধরিয়ে রাখা, বই হাতে দিয়ে পড়তে দেওয়া কিংবা অনেক বেশি করে লিখতে দেওয়া, যাতে করে শিক্ষার্থী ব্যস্ত থাকে, ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সহজে।

 সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন

মনে রাখবেন, সমস্যা ১টা হলেও তার সমাধান কয়েকটি পথ খোলা থাকে। তাই যে বিষয়ে যে পথ বন্ধ হবে সাথে সাথে অন্যান্য পথ বের করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে, এটাই পজেটিভ ইনটেনশন, ভেঙে পড়া, গুটিয়ে থাকা, নিরাশ বা হতাশ হওয়া শিক্ষককে মানায় না, কারণ শিক্ষক সমাজের মাথা, বিবেক, মডেল। আপনাকে যত বাধা দিবে আপনি তত কৌশলে দূর্বার হবেন এটাই সফলতা। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মহান, ভালো এবং সফল মানুষদের প্রতি পদে পদে বাধা এসেছে, তাই আমরা যারা শিক্ষক, সব প্রতিকুলতা ডিঙিয়ে আদর্শ ও নৈতিক জাতি গড়তে বদ্ধ পরিকর থাকবো ইনশাআল্লাহ্। আমাদের লক্ষ্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নয়, আমরা গড়ে তুলবো মানুষ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. প্রিয়ন্তী বিশ্বাসশুক্র ডিসে ২৯, ১১:১১:০০ PM ২০২৩

    আমিও তাই মনে করি যে শিক্ষা জ্ঞান। তাই জ্ঞান অর্জন করে একজন ভালো মানুষ হতে। ভালো মানুষের জ্ঞান গুলো নিজেদের ভেতর আনতে হবে।মহামানবরা বলে গিয়েছিলেন যে একসময় জ্ঞানীই হবে দোষী আমরা সে সময়ে বাস করছি।তাই আমাদের ভালো জিনিসটা ফিরিয়ে আনতে হবে।ভালোর জন্য সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।যারা ভালো কিছু কিংবা মনের ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু করতে গেলে সাথে থাকতে হবে।আর শুধু ছাত্র ছাত্রীরা ভালো কিছু শিখলেও তাদের অভিবাবকের জন্য খাটাতে পারেনা। এটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।সত্যিকারের মানুষ, ভালো কাজ তারা বুঝতে চায়না।তারা সবকিছুকে ছোট করে দেখে।তখন জীবনে কিছু করা সম্ভব হয়না। মানুষের মানসিকতাকে দুর্বল করে দেয়।তাই এদিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। অনুরোধ থাকলো মানুষকে পাশে পাওয়ার।অভিভাবকরা বোঝে পড়াশোনা মানেই ডাক্তার, বড় বড় পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করা।তারা বুঝতে চায়না পড়াশোনা জ্ঞান যা মানুষকে একজন সরল সুন্দর ও জ্ঞানী করে তোলে। তারা কোনো পেশায় যুক্ত হতে দিতে চান না।বলেন ছোট কাজ।যেমন একটা ফুসকা কিংবা কোনো নিজস্ব হোটেল। ছোট ব্যবসাও তো একসময় বড় হবে।টাকা পয়সা না থাকলেও কর্মে নামতে দিতে চায়না। আর আজকাল ভালো কথা বলতে চায়না মানুষ সহজেই খারাপ কথা বলে অপমান করে ভালো মানুষদের। যেমন পরীক্ষার ফলাফল। দিপুমির মতো মানুষ, প্রধান মন্ত্রীর মতো মানুষ সরল কথা বলতে পারে কিন্তু সাধারন মানুষ বাজে কথা বলে।ভালো মানুষগুলোকে একজোট হতে হবে।ভালো জিনিসকে সামনে আনতে হবে।জিপিএ৫ পেলে ভালো তাছাড়া সব খারাপ খুবই নিচু মানুসিকতা দেখানো হয়।একজোট হয়ে ভালোটাকে মানবিকতাকে সামনে আনতে হবে।সবাই যেন সবার সাথে সুন্দরভাবে কথা বলে।আর পরাশোনাকে বোঝা তৈরি করা করেছে কিছু জটিল অভিভাবকরা আর কি অজ্ঞানী ব্যক্তি।যে পড়াশোনায় ভালো করতেই হবে।পরাশোনা এমন সম্পদ যেখানে মন খুলে দুটো কথা বলা আর অনেক কিছু শেখাও যাবে। আমি চায় ভালো মানুষগুলো পৃথিবীতে থাকুক আর তারা যেন মানুষকে পাশে পায়।সবসময় সবার সাথে সুন্দ করে কথা বলতে হবে। মনে রাখতে হবে মানবিকতাকে ধরে রাখতে হবে।খারাপ কাজে সাহস করে প্রতিবাদ করতে হবে অনায়াসে।

    উত্তরমুছুন

Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।