আসসালামু আলাইকুম।
‘সবার জন্য ব্লগ’ -এ তিন কুল সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা থেকে পোস্ট করা হলো-
"কোন কোন সূরাকে তিন কুল বলা হয়, কখন ও কীভাবে পড়তে হয়? সূরা এখলাস সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাসের গুণাবলি ও মাজেজা "
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস-কে তিন কুল বলা হয়।
এই তিন সূরার শুরুতে আরবি ‘কুল’ শব্দ থাকার কারণে তিন কুল নামে ডাকা হয়। এই তিনটি সুরা পাঠ করার অসংখ্য ফজিলতের কথা হাদিসে এসেছে। বিশেষ করে ফজর ও মাগরিব নামাজের পর এবং ঘুমানোর সময় তিন কুল পাঠ করলে যাবতীয় অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকার কথা বলেছেন প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ(স.)।
সারাদিনের নিরাপত্তার জন্য তিন সময় তিন কুল পড়ার কথা গুরুত্ব সহকারে হাদিসে এসেছে। এই তিন সময় হলো-
১। ফজর ও মাগরিব
নামাজের পর প্রতিটি সূরা তিনবার করে।
২। যোহর, আছর
ও ইশা’র পর প্রতিটি সূরা একবার করে।
৩। রাতে ঘুমানোর আগে বিছানায় প্রতিটি সূরা তিনবার করে পাঠ করা।
সূরার নাম – সূরা ইখলাস।
অর্থ - একত্ব।
মোট আয়াত সংখ্যা - ০৪।
বাংলা উচ্চারণ : বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
বাংলা অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু।
আয়াত নং - ০১
বাংলা উচ্চারণ : কুল হুওয়াল্লা-হু
আহাদ।
বাংলা অনুবাদ : বলো ‘তিনি
আল্লাহ, এক – অদ্বিতীয়,
আয়াত নং - ০২
বাংলা উচ্চারণ : আল্লা
- হুসসামাদ।
বাংলা অনুবাদ : ‘আল্লাহ
কাহারও মুখাপেক্ষি নন, সকলে তাঁহার মুখাপেক্ষি;
আয়াত নং - ০৩
বাংলা উচ্চারণ : লাম ইয়ালিদ
ওয়ালাম ইঊলাদ।
বাংলা অনুবাদ : ‘তিনি কাহাকেও
জন্ম দেন নাই এবং তাঁহাকেও জন্ম দেওয়া হয় নাই,
আয়াত নং - ০৪
বাংলা উচ্চারণ : ওয়া লাম
ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।
সূরার নাম – সূরা
আল ফালাক্ব।
অর্থ - নিশিভোর।
মোট আয়াত সংখ্যা - ০৫।
বাংলা উচ্চারণ : বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
বাংলা অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু।
আয়াত নং - ০১
কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক।
বাংলা অনুবাদ : বলো, ‘আমি
শরণ লইতেছি ঊষার স্রষ্টার,
আয়াত নং - ০২
মিন শাররি মা-খালাক।
বাংলা অনুবাদ : ‘তিনি যাহা
সৃষ্টি করিয়াছেন তাহার অনিষ্ট হইতে,
আয়াত নং - ০৩
ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব।
বাংলা অনুবাদ : ‘অনিষ্ট
হইতে রাত্রির অন্ধকারের, যখন উহা গভীর হয়
আয়াত নং - ০৪
বাংলা অনুবাদ : ‘এবং অনিষ্ট
হইতে সমস্ত নারীদের, যাহারা গ্রন্থিতে ফুৎকার দেয়
আয়াত নং - ০৫
ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
সূরার নাম – সূরা আন নাস।
অর্থ - মানবজাতি।
মোট আয়াত সংখ্যা - ০৬।
বাংলা উচ্চারণ : বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
বাংলা অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু।
আয়াত নং - ০১
কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ।
বাংলা অনুবাদ : বলো, ‘আমি
শরণ লইতেছি মানুষের প্রতিপালকের,
আয়াত নং - ০২
মালিকিন্না-ছ।
বাংলা অনুবাদ : ‘মানুষের
অধিপতির,
আয়াত নং - ০৩
ইলা-হিন্না-ছ।
বাংলা অনুবাদ : ‘মানুষের
ইলাহের নিকট,
আয়াত নং - ০৪
মিন শারলিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ।
বাংলা অনুবাদ : আত্মগোপনকারী
কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হইতে’
আয়াত নং - ০৫
আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-।
বাংলা অনুবাদ : ‘যে কুমন্ত্রণা
দেয় মানুষের অন্তরে,
আয়াত নং - ০৬
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।