আস্ সালামু আলাইকুম।
‘সবার জন্য ব্লগ’ –এর সম্মানিত পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের
মোকারববাদ জানিয়ে আজকে যুক্ত করছি-
”নষ্ট কলুষিত মানের শিক্ষক কারা? কী তাঁদের পরিচয়? “
পৃথিবীতে
এমন কিছু সম্পর্কের শব্দ রয়েছে সেসব সম্পর্কের মানুষদের নিয়ে কথা বলা দুঃসাহসের ব্যাপার।
যেমন : মা, শিক্ষক, ইমাম সেসবের অন্যতম। যদি মা সম্বন্ধে বলি তবে- ইসলামের সুস্পষ্ট
নির্দেশ, মা’য়ের পায়ের তলে জান্নাত, মা জাতিকে এতটাই সম্মানিত করা হয়েছে যে, নবী-রাসুলের
জমানা থেকে কেয়ামত পর্যন্ত মা’কে নিয়ে নেগেটিভ / নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেওয়া হবে
না। এটা ইসলামের সুস্পষ্ট সম্মান। তাই বলে কী মা’য়েদের মধ্যে অনেক মা কী নেই, যারা
কিনা সবচেয়ে নিকৃষ্টতম কাজ করে চলেছে। অবশ্যই আপনি ভুরিভুরি উদাহরণ সামনে আনতে পারবেন।
আজকাল সংবাদ থেকে অনায়াসেই জানতে পারছি- পরকীয়ায় জড়িয়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করছে, আরো
কত কী? কিন্তু মা জাতিকে নিয়ে সাহিত্য রচনা, কবিতা, গান, নাটক, সিনেমা’র একটি উদাহরণও
কী দেখাতে পারবেন? যেখানে মা’কে ছোটো করা হয়েছে? অপরদিকে বাবা জাতিকে বা পুরুষকে সহজেই
ধুয়ে দেওয়া যায়, বাবা জাত খারাপ, পুরুষ মানুষ মানেই চরিত্রহীন এমন হাজারো কথা বলে।
যে পুরুষ বা বাবা জাতি সৃষ্টি না হলে নারী বা মা জাতি সৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন হতো কিনা
জানা নাই।
সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তেমনিভাবে
এ সমাজে শিক্ষক বা ইমাম যারা কিনা শিক্ষাগুরু, এপার ওপার জীবনের সঠিক পথ নির্দেশনা
দেন। তাঁদের নিয়ে কথা বলা, ছোটো করা, গায়ে হাত তোলা, ট্রল করা, মামলা করা, শাস্তি দেওয়া
ছাড়াও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহনে কোনো বাধা নেই। তবুও তাঁদের নিয়ে লিখা বা কথা বলতে
সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন। অবশ্যই প্রয়োজন সম্মান জানানোর। তবে বর্তমান সমাজে
শিক্ষক সেজে ইমাম সেজে মানুষের নামে অমানুষিক আচরণ দিয়ে সমাজকে কলুষিত করে যাচ্ছে কিছু
নষ্ট মানের মানুষ।
সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নষ্ট কলুষিত মানের শিক্ষক:
বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিক্ষকতাকে অঘোষিত বেকারত্ব বললেও এ পেশার মূল নৈতিকতা বা আদর্শ থাকা বাঞ্জনীয়। পুঁথিগত বিদ্যায় শিক্ষিত হয়ে যারা শিক্ষাকে বাণিজ্যিকরুপে মেনে নিতে পারে, যারা শিক্ষা বিস্তারের
মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে গড়ে তোলার বদলে নিজের সাধ আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যস্ত, বদনজরে সন্তান
সমতুল্য শিশুদের সাথে বদমায়েশী সাধ পূরণে মরিয়া, যারা শিক্ষকের মর্ম বোঝেনা, যারা জানেনা
শিক্ষকের দায়িত্ব কর্তব্য, যারা বোঝেনা তার ভুলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশ জাতি ও পরিবার,
যাদের আছে শুধু অর্থের লোভ ও লালসা, তারা বোঝেনা কোনটা সাদা আর কোনটা কালো। এরাই হচ্ছে
নষ্ট কলুষিত মানের শিক্ষক।
সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নষ্ট কলুষিত মানের শিক্ষকের পরিচয়:
## যেসব কর্মকান্ড দেখলে
বোঝা যাবে সে নষ্ট কলুষিত মানের শিক্ষক-
১।
এই ধরণের শিক্ষক শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেয় না, বরং সময় কাটাতে অন্য কর্মের আশায় কিছুদিন
শিক্ষক সাজে।
২।
শিক্ষকের নীতি আদর্শ ধারন করে না তাঁরা।
৩।
শিক্ষক হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও মূলত: কোচিং বা প্রাইভেট বাণিজ্য করে
অর্থ আয়ের মূল লক্ষ থাকে তাঁদের।
৪।
নিজেকে খুব জ্ঞানী এবং পারদর্শী মনে করে এই ধরনের কলুষিত মানের শিক্ষকগণ।
৫।
তাঁদের রুচি এবং আচরণ হয় নিম্নমানের।
৬।
শ্রেণিতে পড়ালেখা শেখানো তাঁদের আসল উদ্দেশ্য থাকেনা, বরং সময় কাটিয়ে মাস শেষে বেতন
নেওয়ার তাঁদের আদর্শের মধ্যে পড়ে।
৭।
তাঁরা নিজে যেমন নৈতিকতা নিয়ে চলতে শিখে নাই, তাই তাঁরা শিক্ষার্থীদেরকেও নৈতিকতা শেখায়
না।
সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন
৮।
শ্রেণিতে তাঁদের আচরণ থাকে পক্ষপাতমূলক।
৯।
তাঁদের কাছে যেসকল শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে তাঁদেরকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে থাকে।
১০।
বিভিন্ন লোভ লালসার পাশাপাশি লালস্য দৃষ্টিভঙ্গিও তাঁদের চরম। সন্তানতুল্য ছাত্রীদের
নিয়ে বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত হতে দ্বিধা করে না।
১১।
তাঁরা সুযোগ খোঁজে সর্বদাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য।
১২।
পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতে তাঁরা পারদর্শী।
১৩।
পরীক্ষার সময় সুযোগ খোঁজে যেকোনো মূল্যে নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করার।
১৪।
পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নেও তাঁদের পক্ষপাতিত্বের জুড়ি মেলা দায়। নৈতিকতার দৃষ্টিতে
না দেখে ইচ্ছানুযায়ী মার্ক প্রদান করেন।
১৫।
তাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক শৃংখলা মানতে চায়না। বরং বিশৃংখলার পক্ষেই যুক্তি হিসেবে অযুক্তি
দাঁড় করিয়ে দেন।
১৬।
তাঁরা সবসময় চায়- তার আশেপাশে ঝগড়া বিবাদ কলহ লেগে থাকুক। এসব ফ্যাসাদ থেকে তাঁরা মজা
বা ফায়দা নিয়ে থাকে।
১৭।
প্রতিষ্ঠানে বিভেদ সৃষ্টি, দলাদলি করা, একে অপরের বিরুদ্ধে ছোটো করা, কুৎসা রটানো এদের
অন্যতম কাজ।
১৮।
প্রতিষ্ঠানের ভালো হওয়ার স্বার্থে কখনই কারো ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেয় না, বরং অপেক্ষায়
থাকে এসব ভুলের দ্বারা সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার।
১৯।
তোষামোদী এদের অন্যতম স্বভাব, উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে ভাব রেখে নিজের ফায়দা লুটতে
পারদর্শী।
২০।
তাঁরা সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে নিজের স্বার্থ লুটে ধ্বংস করে দেয় পরিবার
সমাজ দেশ এবং জাতিকে।
সবধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।