(এই লেখার তথ্যসূত্র স্বনাতন ধর্ম এর, নিশ্চয় আপনি জানেন স্বনাতন ধর্ম কোনো নির্দিষ্ট গন্ডিসীমায় সীমাবদ্ধ নয়, ইচ্ছে হলেই বদলানো যায় বা নতুন কিছু যোজন বা বিয়োজন করা যায়। তাই এ লেখা কারো সাথে মিলে গেলে বা সম্মানহানির জায়গা মনে হলে, নিজের সাথে মেলাবেন না। কেউ যদি স্ব-ইচ্ছায় নিজের সাথে মিলিয়ে ভাল মন্দ বিচার করেন, তবে নিছক আপনার ব্যপার, লেখক কোনো দায়ভার নিবেনা)
ইসলামিক ও শিক্ষামূলক গল্প উপন্যাস পড়ুন এখানে
পুরুষ জাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন |
“পুরুষ জাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন (Recognize Male Race and Their Types)”
প্রথমেই পুরুষ জাতির ইতিহাস সংক্ষিপ্ত জেনে নিব :
পুরুষ : ইংরেজি
`man` শব্দটি প্রাক-ইন্দো-ইউরোপীয় শব্দ মূল man
থেকে এসেছে। এটি সংস্কৃত/আভিস্তান manu বা মানু, স্লাভিক থেকে এসেছে। আরো সরাসরি
শব্দটি পুরাতন ইংরেজি ভাষা থেকে এসেছে। পুরাতন ইংরেজিতে এর নির্দিষ্ট অর্থ হচ্ছে,
‘প্রাপ্তবয়স্ত মানুষ’। এছাড়াও পুরুষ শব্দটি অনেক ভাষা থেকে আবির্ভাব হয়েছে। পুরুষ হলো
পুং জাতীয় সদস্য। বিশ্বের অন্যান্য অধিকাংশ পুং জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মত পুরুষের
জিনোম সাধারনতঃ তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া x ক্রোমোজোম এবং বাবার কাছ থেকে পাওয়া y ক্রোমোজোম
দ্বারা সৃষ্টি। পুরুষ ভ্রূণ নারীর ভ্রূণের তুলনায় অধিক পরিমাণে এন্ড্রোজেন হরমোন ও
খুব কম পরিমাণ ইস্ট্রজেন হরমোন উৎপাদন করে থাকে। সেক্স স্টেরয়েড তৈরির পরিমাণের পার্থ্যকের
জন্যই মূলত একজন নারী ও একজন পুরুষের শারীরিক পার্থক্য সৃষ্টি হয়।
ইসলামিক ও শিক্ষামূলক গল্প উপন্যাস পড়ুন এখানে
n পুরুষ জাতির প্রকারভেদ—
রতিশাস্ত্র অনুযায়ী পুরুষ-কে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে :
যথা : ১। শশক জাতীয় পুরুষ।
২। মৃগ জাতীয় পুরুষ।
৩। বৃষ জাতীয় পুরুষ।
৪। অশ্ব জাতীয় পুরুষ।
১। শশক জাতীয় পুরুষ :
পুরুষ
জাতের মধ্যে এরাই সর্বোত্তম। খুব শান্ত-শিষ্ট, ভদ্র, অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী তারা।
অপরের উপকারে সর্বদা মনোযোগী থাকে। শশক জাতীয় পুরুষের শরীর কন্দর্পের মতো অপরুপ কান্তিবিশিষ্ট
ও সুলক্ষণযুক্ত। এই জাতীয় পুরুষদের দেহ নাতি খর্ব ও নাতি দীর্ঘ হয়ে থাকে। সব সময় হাসিমাখা
মুখে কথা বলে এবং মুখমন্ডল সদা প্রফুল্লে ভরা থাকে। এরা খুবই সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ ও একনিষ্ঠ হয়ে থাকে।
অন্যায়কে প্রশয় একদমই দেয় না। কথার ভঙ্গি বেশ ভাবময় এবং গাম্ভীর্য হয়ে থাকে। সাধারণত
পাপমুক্ত থাকতে চেষ্টা করে শশক জাতীয় পুরুষ। এদের মন সাধারনত কাম-গন্ধহীন হয়। বিভিন্ন
নারীর প্রতি এদের আসক্ততা থাকে না। প্রভূভক্ত মানে সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা করতে ভালবাসে।
নামাজ, প্রার্থনা, উপাসনা ও সরল পথে চলতে ভালবাসে। শশক জাতীয় পুরুষদের মুখমন্ডল গোলাকার
এবং দৈহিক গড়ন মধ্যকার হয়। বচন মিষ্ট, দেখতে সুন্দর এবং চেহারায় মায়া জড়িয়ে থাকে। হাত
পা হালকা এবং সুন্দর হয়। এদের জ্ঞান গরিমা যুক্তিশীল হয়। পরিশ্রমী হয় এবং জ্ঞাণী ও
গুণীজনদের শ্রদ্ধা করে থাকে। সূত্রমতে, এদের পুরুষাঙ্গ ৬ আঙ্গুলের বেশি লম্বা হয়ে থাকে
এবং বীর্য থেকে দূর্গন্ধ বের হয় না। স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা প্রখর হয় এবং কামেচ্ছা অদ্ভূদ
ধরনের।
২। মৃগ জাতীয় পুরুষ :
শশক
পুরুষের থেকে এদের মূল পার্থক্য হল- শশক পুরুষের মন নির্মল ও বিশুদ্ধ হয়, তারা পাপমুক্ত
থাকতে সর্বদা চেষ্টা করে কিন্তু মৃগ জাতীয় পুরুষেরা তেমনটা নয়, এরা বাহ্যিকভাবে ধর্মপরায়ণ
হলে ভিতরে কপট। কিন্তু আচার আচরণে বুঝতে পারা যায় না। মৃগ জাতীয় পুরুষের প্রেমের সাথে
কিছুটা কামগন্ধ মিশ্রিত। তাই এরা শশকের চেয়ে একটু বেশি নারীসঙ্গ অভিলাষী হয়ে থাকে।
তবে শশক পুরুষের সাথে এদের মিল হল- এরাও গুরুভক্ত, প্রভূভক্ত, স্রষ্টার প্রেমে মগ্ন
থাকতে ভালবাসে। মৃগ জাতীয় পুরুষেরা দীর্ঘাঙ্গ হয়, গা’য়ে বেশ বল থাকে। চলার সময় মনে
হয় এরা লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে। বহুভোজী ও ভীষণ ভোজনবিলাসী হয়ে থাকে। দিনরাত সংগীত নিয়ে
পড়ে থাকে, এরা দেবতা, অতিথি সেবা করতে ভালবাসে। মৃগ জাতীয় পুরুষ মানুষের সাথে মিশে
চলতে ভালবাসে, হাস্যজ্জ্বল মুখমন্ডলে কথা বলে বা ভাব বিনিময় করে থাকে। পুরুষ জাতীর
মধ্যে এরা উত্তম।
জানুন- নারীর প্রকারভেদ ও চেনার উপায়
৩। বৃষ জাতীয় পুরুষ :
বৃষ
জাতীয় পুরুষের ঘাড় গর্দান বলিষ্ঠ, কন্ঠস্বর কর্কশ, হাত পা রক্তবর্ণের হয়। তবে এদের
চলার গতি চমৎকার। এদের পুরুষাঙ্গ বেশ লম্বা হয় এবং শরীর ও বীর্য থেকে লবণাক্ততা বের
হয়। এদের পা ক্ষুদ্র ও জিহ্বা বড় হয়। দেহ থেকে
সুপারির গন্ধ বের হয়। খুব বেশি খেতে ভালবাসে। যে কোনো খাবার খেতে পারে এরা। কিছুটা
অপরিষ্কার ও নোংরা জাতীয়। পাপে ভর্তি অন্তর। ধর্মে বিশ্বাসী নয় এরা। খুব বেশি নারীসঙ্গ
পেতে চায়। নারীসঙ্গ পেতে এহেন কাজ নেই যে, এরা করাতে পারে না। নির্লজ্জ ও বেহায়া হয়ে
থাকে। সব ধরনের অন্যায় বা অসামাজিক কাজ এরা করতে পারে। একের পর এক অসৎ অন্যায় কাজ করে
এবং এ নিয়ে কে কি বলল বা অপমান করল, তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। নারী দর্শনে খুবই মনোযোগী
এরা। খুবই কামপ্রবৃত্তি হয়, রাতদিন বিভিন্ন ধরনের নারীসঙ্গ পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। পুরুষ
জাতী হিসেবে এরা মধ্যম।
৪। অশ্ব জাতীয় পুরুষ :
অশ্ব
শব্দের অর্থ ঘোড়া। অর্থের মাঝেই কিছুটা অনুমান করা যায় এদের চাল চলন, দৈহিক গঠন ও স্বভাব
চরিত্র। অশ্ব জাতীয় পুরুষের মুখমন্ডল লম্বা হয়। কান মাথা ও অধর ওষ্ঠ সরু, মাথার চুল
ঘন ও বক্র হয়। এরা বাচাল প্রকৃতির মানুষ। এদের রতিশক্তি অন্য তিন জাতের পুরুষের তুলনায়
অনেক বেশি। এরা নিজ স্বার্থ উদ্ধারে ও কাম তৃষ্ণা চরিতার্থ করতে সর্বদা লিপ্ত থাকে।
এদের পুরুষাঙ্গ সবচেয়ে বেশি লম্বা হয় এবং দূর্গন্ধে ভর্তি। এদের দেহ রক্তবর্ণ হয়। শরীর
খুব স্থূল হয়। খুব জোরে জোরে চলতে পারে। একদমই অধার্মিক, মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, ক্রোধপরায়ণ
কারো পিছে লেগে থাকা এদের স্বভাব। বাহ্যিকভাবে ধার্মিক সেজে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এরা
ভেতরে ভেতরে খুবই নোংরা জাতীয় মানুষের প্রতিচ্ছবি। মুখে মিষ্ট ভাষা দিয়ে অপরের ক্ষতি
করে ফেলতে পারে। বাড়িয়ে বলার অভ্যেস এদের বেশি। দুঃশ্চরিত্র স্বভাবের অশ্ব জাতের পুরুষেরা
সর্বদা নারী সঙ্গ পেতে চায় এবং নারীসঙ্গ পেতে সবকিছুই করে থাকে। কর্কশ কন্ঠস্বর ও গালাগালি
করে থাকে।
ফকির লালন শাহ এর বাণি দিয়ে শেষ করছি আজকের মতো—
“শশক পুরুষ সত্যবাদী,
মৃগপুরুষ উর্দ্ধভেদী।
অশ্ব বৃষ বেহুশ নিরবধি
তাদের কু-কর্মেতে সদায় মন।”
জানুন- নারীর প্রকারভেদ ও চেনার উপায়
“পুরুষ জাতি ও তাদের প্রকারভেদ চিনে নিন (Recognize Male Race and Their Types)”
ভাল লাগলে-
অন্যকে
জানাতে শেয়ার করুন।
খুবই
ধন্যবাদ “সবার জন্য ব্লগ” –এর সাথে থাকার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।