চোখ নষ্ট হওয়ার আগে ও পরে করণীয় । Things to do before and after eye damage

  

চোখ মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি ভাল রাখতে অবশ্যই সচেতনভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, চোখ যখন নষ্ট হওয়া শুরু করে সাধারনত দ্রুতই ধরা পড়ে না, ধীরে ধীরে ভেতর থেকে নষ্ট হতে হতে কয়েক বছর পর যখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়, তখন অনেক দেরি হযে যায়, ফলে অনেক ভোগান্তি ও খরচের বোঝা বহন করতে হয়। তাই আমাদের উচিৎ নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা এবং ভাল থাকা। চোখের সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি কমে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ময়লা, চোখ ব্যথা ও লাল হয়ে যাওয়া।


চোখ নষ্ট হওয়ার কারণ, চোখ নষ্ট হলে করণীয়, চোখ ভাল রাখার ঘরোয়া উপায় পদ্ধতি, চোখের ড্রপ, আই ড্রপ, চোখের চিকিৎসা, চোখের মেডিসিন বা ঔষধ, প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের যত্ন নেওয়ার উপায়, চোখ নষ্ট হওয়ার আগে করণীয়, চোখ নষ্ট হওয়ার পরে করণীয়, চোখের হাসপাতাল হসপিটাল, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর উপায়, চোখের চশমা ব্যবহারের নিয়ম, Causes of Eye Damage, Eye Damage, Home Remedies for Eye Care, Eye Drops, Eye Drops, Eye Treatment, Eye Medicines, Eye Care Natural Ways, Before Eye Damage, After Eye Damage, Eye hospital hospital, ways to increase eye sight, rules for using eye glasses
চোখ নষ্ট হওয়ার আগে ও পরে করণীয় । Things to do before and after eye damage


 সবার জন্য ব্লগ -এ আজকের লেখাতে থাকছেচোখ নষ্ট হওয়ার আগে ও পরে করণীয়”।


আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here 

চোখ নষ্ট হওয়ার আগে করণীয়:

          পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম:

প্রতিটি মানুষেরই চোখ ভাল রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একজন প্রয়োজন প্রাপত বয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন। তবে ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী ভিন্নতা হতে পারে। কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রে ৪৫–৬০ মিনিট পরপর ১০-১৫ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে। কম্পিউটার কাজের ক্ষেত্রে প্রতি ২০ মিনিটের জন্য ২০ সেকেন্ড বিরতি আবশ্যক। এই নিয়ম মেনে চললে চোখসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গও ভাল ও সূস্থ্য থাকবে।

 

খাদ্যাভ্যাস:

চোখের সমস্যা এড়াতে শিশু থেকেই খাদ্যাভ্যাস নিয়মমাফিক থাকা জরুরি। এজন্য পরিবারের সচেতনতা প্রয়োজন। শিশুর ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোই যথেষ্ট। ৬মাসের পর থেকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। এছাড়াও শিশু ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির বেলায় নিয়মিত খাদ্য তালিকায় শাক সবজি, পেঁপে, গাজর, মৌসুমী ফল খাওয়ার অভ্যাস থাকতে হবে।

 

টেলিভিশন ও কম্পিউটার:

কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বড় ও LED মনিটর ব্যবহার করা উত্তম। কমপক্ষে ৩ফুট দূরত্ব থেকে কম্পিউটারে কাজ করতে হবে। টেলিভিশন দেখার ক্ষেত্রে ১০ ফুট দূরত্ব থাকা উচিত। যদি শিশু বা ব্যক্তি খুব কাছে থেকে মনিটর বা টেলিভিশন দেখে তবে তাকে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে।

 

রোদে সতর্কতা:

তীব্র রোদে অনেক সময় চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। এসময় ঘনঘন চোখের পাতা ফেলতে হবে। আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে বাঁচতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। খাবার ও ধূলাবালির মাধ্যমেও চোখে এলার্জিজনিত বা ভাইরাল ইনফেকশন হতে পারে। বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে। প্রচন্ড রোদে বাইরে বের হলে ছাতা কিংবা সানগ্লাস সাথে রাখতে হবে।

 

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহারে সতর্কতা:

আধুনিক যুগে কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার বাড়ছে, যা অনেকেই ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করে থাকছে। প্রসাধনী হিসেবে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারী পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তাররা লেন্স ব্যবহারের পরামর্শ দেন, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহার শেষে জীবাণুমুক্ত করে সলুশনে ডুবিয়ে লেন্স সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া লেন্স ব্যবহারে যদি চোখ লাল হয়ে যায়, পানি পড়ে, ময়লা জমা উপসর্গ দেখা দেয় তবে লেন্স ব্যবহার বন্ধ করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

 

চোখ নষ্ট হওয়ার পরে করণীয়:

          চোখ ব্যথা:

চোখ ব্যথা একজন মানুষকে অন্ধ করে দিতে পারে। তীব্র গ্লুকোমারের কারণে এটি হয়। চোখে ঝাপসা দেখা, তীব্র মাথা ব্যথা, বমিভাব। চোখের ব্যথা- ইনফেকশন, চোখ জ্বালা, শুকিয়ে যাওয়া, এলার্জির কারণেও হতে পারে। তাই এসব উপসর্গ উপলব্ধি হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

 

          ঘন ঘন মাথাব্যথা:

চোখের সমস্যার কারণে  ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। অনেকক্ষেত্রে মাথা ব্যথার সাথে চোখে পানি পড়ে। এজন্য মাথাব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সাধারনত চশমা বা আই ড্রপ অথবা উভয় ব্যবস্থায় দিয়ে থাকেন।

ঝাপসা দেখা:

আপনি যদি বুঝতে পারেন যে, আগের মতো কাছের কিংবা দূরের জিনিস পরিষ্কার দেখতে পারছেন না, টিভি দেখা, বই পড়া, মোবাইল দেখতে ঝাপসা ভাব অনুভব হচ্ছে, তাহলে দেরি না করে চোখের ডাক্তার দেখান এবং টিকিৎসা নিয়মিত করে যান।


আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

গাড়ি চালাতে অস্পষ্ট দেখা:

গাড়ি চালাতে গিয়ে যদি দেখেন কিছুটা দূরের জিনিস অস্পষ্ট মনে হচ্ছে; বিশেষ করে রাতের বেলায় বেশি অনুভূত হয়, তবে দেরি না করে ডাক্তারী পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিন। এক্ষেত্রে চিকিৎসক চশমা দেওয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।

 

উপরোক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও যদি ব্যক্তি মনে করেন চোখ নিয়ে অস্বস্তিবোধ করছেন, তবে একজন ভালো চোখের ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বিবেচকের কাজ হবে।

 

সতর্কতা : রেজিস্টার প্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ঔষধ সেবন বিপদজ্জনক; যা হিতের বিপরীত হতে পারে। 

 

উল্লিখিত সমস্ত তথ্য অনলাইনভিত্তিক।

বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ তুলে ধরা হলো,

সতর্কতা : অবশ্যই ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

সবার জন্য ব্লগ’ এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ