স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে মিষ্টি কুমড়া শাক কীভাবে খাবেন । How to Eat Sweet Pumpkin Greens to Get Health Benefits

 

দিন যতো যেতে থাকবে ততই নতুন নতুন খাবারের রেসিপি যুক্ত হবে মানুষের খাদ্য তালিকায়। কিছুদিন আগেও মানুষ অনেক কিছু খেতেন না, খেতেন না বলতে জানতেন না বা তেমন অভাব ছিলোনা। এটাও সত্য যে, অভাব আসলে বা প্রয়েজেন শুরু হলে প্রাণিকুল অনেক অকেজো জিনিসকেও কাজের উপাদান হিসেবে প্রস্তুত করে ফেলে। তেমনি খাবার তালিকাতেও অনেক কিছু যুক্ত হয়েছে এমন পরিস্থিতিতে। আবার পুষ্টিবিদদের গবেষণা ও পরামর্শে শুরু হয়েছে আশ্চর্য কিছু খাবারের রেসিপি। মিষ্টি কুমড়া শাক খুব বেশি প্রচলিত না হলেও খাবার প্রিয় বাঙালিরা চোখে পড়লে সংগ্রহ করতে ভোলেন না।

মিষ্টি কুমড়ো শাক কেন খাবেন, মিষ্টি কুমড়া শাকের পুষ্টিগুণ, মিষ্টি কুমড়া শাকের ঔষধীগুণ, মিষ্টি কুমড়া শাকের পুষ্টি উপাদান, মিষ্টি কুমড়া শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা, যেসব রোগের ঔষধ মিষ্টি কুমড়া শাক । Why eat sweet pumpkin greens, sweet pumpkin greens nutritional value, sweet pumpkin greens medicinal properties, sweet pumpkin greens nutritional content, sweet pumpkin greens health benefits, diseases that sweet pumpkin greens cure
স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে মিষ্টি কুমড়া শাক কীভাবে খাবেন
 

সবার জন্য ব্লগ –এ আজকে লিখছি,

স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে মিষ্টি কুমড়া শাক কীভাবে খাবেন

 আরো পড়ুন-  লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক, পালং শাক, কচু  শাক কলমি শাক-এর বিস্তারিত

মিষ্টি কুমড়া শাকের পুষ্টিগুণ:

মিষ্টি কুমড়া শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, আঁশ, জল, এ্যানার্জি,  ভিটামিন ই, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ,    প্রোটিন, লোহা। তবে কুমড়াতেই নয়, এর লতা-পাতা, ফুল, সবগুলোতেই অনেক উপকারিতা রয়েছে। কুমড়া শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চোখের সমস্যাসহ অনেক বিষয়ে উপকারিতা পাওয়া যায়।

 

মিষ্টি কুমড়া শাকের পুষ্টি উপাদান:

পুষ্টি উপাদান- খাদ্যশক্তি ৩০ কিলোক্যালরি, ক্যালসিয়াম ৪৮ মিঃগ্রাম, চর্বি ০.৫ গ্রাম, শকর্রা ৭.৫ গ্রাম, আমিষ ১.৪ গ্রাম, লৌহ ০.৭ মিঃগ্রাম, ভিটামিন-এ ৭২০০ মাঃ গ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.০৭ মিঃ গ্রাম, ভিটামিন- সি ২৬ মিঃ গ্রাম, ভিটামিন বি২ ২৬ মিঃ গ্রাম।

      আরো পড়ুন-  লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক, পালং শাক, কচু  শাক কলমি শাক-এর বিস্তারিত

মিষ্টি কুমড়া শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা:

 ক্ষত সারাতে : কুমড়ার পাতায় প্রচুর ভিটামিন সি বিদ্যমান। তাই এটি ক্ষত সারাতে বেশ র্কাযকর। তাই যে কোনো আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করত এই শাক খাওয়া যেতে পারে।     

হাড় মজবুত ও দৃষ্টিশক্তি : কুমড়া শাক দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ সহায়তা করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই শাকের তরকারি, স্যুপ বা কুমড়া পাতার রস খেতে পারেন।   

আয়রনের ঘাটতি পূরণ : কুমড়ার পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে দেহের রক্তের অভাব হতে দেয় না। নারী ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই এক্ষেত্রে এই শাক ভালো অস্ত্র হতে পারে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : এই শাকে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরল ও নিয়ন্ত্রনে থাকে।

ত্বকের যত্নে : মিষ্টি কুমড়ার শাকে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্যে করে থাকে। একই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্য ভালো মিষ্টি কুমড়া।

 মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষায়  : শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্যও কুমড়া শাক খুবই প্রয়োজন। কারণ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করে।

আরো পড়ুন-  লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক, পালং শাক, কচু  শাক কলমি শাক-এর বিস্তারিত

হার্টের যত্নে : এই শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। উচ্চ মাত্রার দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল শোষণকে কমিয়ে পিত্ত এসিডের শোষণ রোধ করে। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, সেকারণে হার্টের যত্নে কুমড়ো শাকের কার্যকারিতা অনেক।

ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে : প্রায় সব ধরনের সবুজ শাক সবজিতে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান বিদ্যমান। সে তালিকায় মিষ্টি কুমড়ো শাকও বেশ এগিয়ে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে স্বক্রিয়ভাবে লড়াই করে, এটি বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। তাই খাধ্য তালিকায় এই শাক যুক্ত করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : এই শাকে থাকা ফাইবার অন্ত্রের পেশীগুলোকে সংকোচন করতে সাহায্য করে। স্বতন্ত্রভাবে নিজেকে স্ট্রেইন না করে পেট পরিষ্কার করে দেয়।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, নিজেকে সূস্থ্য রাখতে সতর্কভাবে খাবার বাছাই খুবই জরুরি। তাই আসুন সবধরনের খাবার প্রয়োজন মাফিক গ্রহণ করি এবং সূস্থ্য ও সবল জীবন উপভোগ করি। অবশ্যই যেকোনো খাবারই পরিমিত খেতে হবে, বেশি খেতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 

উল্লিখিত সকল তথ্যই অনলাইন ও

বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ

সবার জন্য ব্লগ’ এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ