চুলের আগা ফাটা শুরু হলে দুঃশ্চিন্তা করে না
এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। কারণ, চুলের আগা ফাটা শুরু হলে চুল বাড়া বন্ধ হয়ে যায়। চুলের রং বিবর্ণ, রুক্ষ ও ফ্যাকাশে হতে শুরু করে, চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যেতে থাকে।
আর এই সমস্যার যদি সমাধান না করেন, তবে দ্রুতই চুলের সর্বনাশ বয়ে আনবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সহজেই চুলের আগা ফাটা সমস্যার সমাধান করা
সম্ভব। এই আর্টিকেলে সে তথ্যই জানাবো- “চুলের আগা ফাটার কারণ জেনে সমাধান করুন”
![]() |
চুলের আগা ফাটার কারণ জেনে সমাধান করুন । Find Out The Cause Of Split Ends |
সবাই পরিবারসহ ঝরঝরে জীবনে আছেন প্রত্যাশা রেখে “Sobar Jonno Blog”-এ আজ লিখছি, “চুলের আগা ফাটার কারণ জেনে সমাধান করুন”। আশা করছি উপকৃত হবেন।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
:::: চুলের আগা ফাটার কারণ ::::
সুন্দর ঝলমলে
উজ্জ্বল
চুলের
আগা
ফাটা
কারোর-ই কাম্য নয়। তবে
চুলের
আগা
ফাটা
সমস্যা
এমনি
এমনি
হয় না, বরং নিজের যত্নের অভাব ও অযাচিত যত্নের কারণে। বাজারের
বিভিন্ন
ধরনের
রাসায়নিক উপাদান
ব্যবহার
করা
এর মূল কারণ। মাত্রাতিরিক্ত শ্যাম্পু, হেয়ার কালার, হেয়ার জেল ইত্যাদি ব্যবহার করলে চুল ও মাথার ত্বকের প্রচন্ড ক্ষতি হয়।
চুলের আগা ফাটার অন্যান্য কারণ :
a. শরীরের পানিশূন্যতা হলে ফেটে যায়।
b. রুক্ষ বালিশের কাভার ও কাপড়ের সঙ্গে ঘষা খেলে চুলের আগা ফেটে যায়।
c. মাথার কোনো পেস্ট তৈরিতে সঠিক পরিমাণে রাসায়নিক উপাদান না হলে।
d. চুলের পুষ্টির অভাব হলে আগা ফেটে যায়।
e. অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানোর কারণেও চুলের আগা ফেটে যেতে পারে।
g. নিয়মিত চুলের আগা না কাটা।
h. রুক্ষতার কারণে।
i. ময়লা অর্বজনা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
:::: চুলের আগা ফাটা রোধে সচেতনতা ও যা করা যাবে না ::::
স্বাভাবিক সচেতনতা :
·
চুল আঁচড়াতে
মোটা
দাঁতের
চিরুনি
ব্যবহার
করতে
হবে।
·
প্রতিদিন ঠান্ডা
পানিতে
চুল
ধুতে
হবে।
·
জট হলে
তেল
বা জেল দিয়ে ছাড়াতে হবে।
·
অতি গরমের
সময়
বেশি
সচেতন
থাকতে
হবে
যেনো
চুলের
গোড়ায়
ঘাম
না জমে।
যা করা যাবে না :
·
চুল শুকাতে
হেয়ার
ড্রায়ার
টুলস
ব্যবহার
করা
যাবে
না।
·
চুলে হিট
দিয়ে
আয়রণ
করা
করা
যাবে
না।
·
বেশি রাত
জেগে
থাকা
যাবে
না।
·
অতিরিক্ত আয়রণ
ও ক্লোরিন সমৃদ্ধ পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না।
·
কারণে অকারণে
বারবার
চুল
আঁচড়ানো
যাবে
না।
·
ভেজা চুল
জোরে
জোরে
আঁচড়ানো
যাবে
না।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
:::: চুলের আগা ফাটা রোধে সমাধান ::::
A. নারকেল তেল কুসুম গরম করে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। ১ঘন্টা
রেখে
মাথা
ধুয়ে
ফেলুন।
B. নারকেল দুধ চুলের আগায় ৪০ মিনিটের জন্য মেখে ভাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
C. একটা পাকা কলা চটকে নিন, তার সাথে ১টি ডিম ফাটিয়ে মিশিয়ে নিন। তার
সাথে
দুধ
ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে আধা ঘন্টা রাখুন। তারপর
শ্যাম্পু করে
ফেলুন।
D. অলিভ অয়েল, টক দই, মধু ও ডিমের কুসুম একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানান। চুলের
আগায়
৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
E. অ্যালোভেরার জেল চুলে লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা লাগিয়ে
শাওয়ার
ক্যাপ
দিয়ে
৪০ মিনিটের মতো চুল আটকে রাখুন। তারপর
শ্যাম্পু দিয়ে
ধুয়ে
ফেলুন।
F. কাঁচা পেঁপেঁ ও টক দই একসাথে ব্লেন্ড করে লাগান। কিছু
সময়
রেখে
ভাল
করে
মাথা
ও চুল ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও
আধা
কাপ
ব্লেন্ড
করা
পাকা
পেঁপেঁর
সাথে
১ টেবিল চামচ টক দই ও ১ টেবিল চামচ আমল্ড তেল মিশিয়ে চুলে মাখুন। ২০ মিনিট পর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
G. আপনি রাতের পথ্যও ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ
অয়েল
এর সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলে ম্যাসেজ করে সারারাত রেখে পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
Find out all the news from here
আশা করছি
চুলের
আগা
ফাটার
কারণ
ও সমাধান জানাতে পেরেছি, আপনি যদি সচেতন হয়ে উপরের নির্দেশনা ফলে করেন, তবে নিশ্চিতভাবেই চুলের আগা ফেটে যাওয়া সমস্যার সমাধান পেতে পারবেন।
আশা করছি “চুলের আগা ফাটার কারণ জেনে সমাধান করুন” লেখাটির মাধ্যমে কিছু পজেটিভ তথ্য দিতে পেরেছি।
আজ ছাড়ছি, কথা হবে অন্য কোনো লেখার মাধ্যমে। ইনশাআল্লাহ্!
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, “সবার জন্য ব্লগ” –এর সাথে
থাকার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।