কলমি শাক অন্য শাক থেকে আলাদা কেন । Why Kalmi vegetables are different from other vegetables

 

এই জন্যই বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ বলা হয়ে থাকে। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে- ঘাটে মাঠে, বন জঙ্গলে, নদী নালা, খাল বিলে জন্মে থাকে নানান ধরনের সুস্বাদু খাবার, গাছ লতা পাতা। যা আমাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার হয়ে উঠে এবং যা দ্বারা খুব সহজেই পেয়ে থাকি জটিল কঠিন রোগের পথ্য। তেমনি একটি জলে ভেসে থাকা উদ্ভিদ কলমি শাক। এই শাকের ভাজি ভর্তা ও বিভিন্ন রেসিপি করে অনায়াসে খাওয়া যায়। বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে কলমি শাক চিনেনা এমন মানুষ চোখে পড়া দায়। গ্রামের খাল বিল থেকে সংগ্রহ করা গেলেও যারা শহরে বাস করেন তাদেরকে বাজারে গিয়ে দাম দিয়েই কিনে খেতে হয়।  

আরো পড়ুন-  লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক, পালং শাক, কচু  শাক-এর বিস্তারিত 

কলমি শাক কেন খাবেন, কলমি শাকের পুষ্টিগুণ, কলমি শাকের খাদ্য উপাদান, কলমি শাকের ঔষধী গুণ, কলমি শাকের ঘরোয়া রেসিপি, কলমি শাকের ম্বাস্থ্য উপকারিতা, কলমি শাকের উপকারিতা, কলমি শাকে কী কী রোগ সারে। Why should you eat kalmi shak, nutritional value of kalmi sak, food ingredients of kalmi sak, medicinal properties of kalmi sak, home recipe of kalmi sak, colon benefits of kalmi sak, benefits of kalmi sak, what diseases can kalmi sak cure?
কলমি শাক অন্য শাক থেকে আলাদা কেন

আজকের লেখায় সবার জন্য ব্লগ-এ থাকছে,

কলমি শাক অন্য শাক থেকে আলাদা কেন 

কলমি শাকের পুষ্টি উপাদান:

প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকের পুষ্টিমান : পানি- ৮৭৯ গ্রাম, ক্যালোরি- ৩০ কিলো ক্যালোরি, আঁশ- ১৪ গ্রাম, শ্বেতসার- ৪৪ গ্রাম, নায়াসিন- ১৩ মিলিগ্রাম, থায়ামিন-০৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম- ০ ৭১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি- ৪৯ মিলিগ্রাম, লৌহ- ০৬ গ্রাম, আমিষ- ৩৯ গ্রাম ।

কলমি শাকের পুষ্টি গুণ:

১। গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে পানি আসে। কলমি শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে তিন সপ্তাহ খেলে পানি কমে যায়।

২। প্রসূতি মায়েদের শিশুরা যদি মায়ের বুকে দুধ কম পায় তাহলে কলমি শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে মায়ের বুকে দুধ বাড়ে।

৩। ফোঁড়া হলে কলমি পাতা একটু আদাসহ বেঁটে ফোঁড়ার চারপাশে লাগালে ফোড়া গলে যাবে এবং পুঁজ বেরিয়ে শুকিয়ে যাবে।

৪। পিঁপড়া, মৌমাছি কিংবা পোকামাকড় কামড়ালে কলমি শাকের পাতা ডগা সহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়।

৫। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কলমি শাকের সাথে আখের গুঁড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। আমাশয়ও এ শরবত কাজ করে। 

আরো পড়ুন-  লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক, পালং শাক, কচু  শাক-এর বিস্তারিত   

 কলমি শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  Ø কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্যে করে। তাই যাদের ক্যলিসিয়ামের ঘাটতি আছে তারা অবশ্যই এই শাক খাবারের পাতে রাখবেন। এবং ছোটবেলা থেকে সবাইকে কলমি শাক খাওয়ানোর অভ্যেস করানো উচিত।

  Ø বসন্ত একটি জটিল ও বিরক্তিকর একটি রোগ। কলমি শাকে থাকা ঔষধী উপাদান বসন্ত রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। যারা নিয়মিত এই শাক খেয়ৈ থাকেন তাদের শরীরে বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

  Ø পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ বা আয়রন থাকায় এই শাক রক্ত শূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারি। আমরা জানি যে, আয়রন শরীরের রক্তের লোহিত কণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

  Ø এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ঠান্ডা, সর্দি, মুখে ঘা হয় এমন ধরনের ভিটামিন সি এর অভাবজনিত রোগের জন্য এই শাক খুব কার্যকরি।

আরো পড়ুন-  লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক, পালং শাক, কচু  শাক-এর বিস্তারিত 

  Ø কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের আছে তারাই বোঝেন এর কি যন্ত্রণা। সেযব প্রাকৃতিক খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে কলমি শাক তাদের অন্যতম। তাই এই শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

  Ø জানা আছে মায়ের বুকের শাল দুধসহ শিশুর প্রয়োজনীয় দুধ পাবার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার সাজেস্ট করা হয়, বিশেষ করে গ্রামের মানুষ অনেক ধরনের শাক সবজি, কালিজিরা ইত্যাদি খেতে বলেন। এক্ষত্রে কলমি শাক মায়ের বুকে দুধ স্বাভাবিক রাখতে দারুণ কার্যকর। তাই জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে এই শাক রান্না করে খাওয়াতে বলা হয়।

 আরো পড়ুন-  লাল শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, লাউ শাক, পালং শাক, কচু  শাক-এর বিস্তারিত 

আসুন প্রকৃতির দেওয়া উপহার বিভিন্ন শাকের মধ্যে অন্যতম গুণী এই শাক নিজে খাই এবং অপরকে খাওয়ার পরামর্শ দিই, ধন্যবাদ।

 

নিবন্ধ- “কলমি শাক অন্য শাক থেকে আলাদা কেনথেকে কী কী তথ্যের ঘাটতি ছিল অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন, ধন্যবাদ।


উপরোক্ত সকল তথ্য-

অনলাইন থেকে সংগ্রহ ও নিজের জ্ঞান।

Sobar Jonno Blog এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ