সর্বরোগের মহৌষধ বলা হয় আদা-কে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ, রান্নার জনপ্রিয় মসলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয় আদা। ছোট বড় সবাই আদার গুণের কথা জানে। বিশেষ করে ঔষধীগুণের জন্য স্বীকৃত। সেই আদার গুণের কথা নিয়েই লিখছি “আদার ঔষধী ও স্বাস্থ্যগুণ”।
আদার ঔষধী ও স্বাস্থ্যগুণ । Medicinal and Health Benefits of Ginger
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি ‘সবার জন্য ব্লগ’ এর “আদার ঔষধী ও স্বাস্থ্যগুণ”। আশা করছি পুরোটা লেখায় সাথে পাবো।
Learn more health tips and lifestyle here
:::: আদা’র ঔষধী ও স্বাস্থ্যগুণ ::::
আদা’তে আমিষ ২.৩%, শ্বেতসার ১২.৩%, খনিজ পদার্থ ১.২%, আঁশ ২.৪% ও পানি ৮০.৮% উপাদান বিদ্যমান। ১০০ গ্রাম পরিমাণ আদাতে রয়েছে : পটাসিয়াম ৪১৫ মিঃগ্রাম, শক্তি ৮০ ক্যালরি, ফসফরাস ৩৪ মিঃগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭ গ্রাম, চর্বি বা ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম।
আদার ঔষধী গুণের মধ্যে উল্লেযোগ্য হল-
·
কাশি ও হাঁপানি রোগে আদার রস কার্যকর উপশম দেয়।
·
জ্বর, ঠান্ডা, ব্যথাতে আদার রস ও সাথে মধু যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
·
অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে আদার রস উপকারী।
·
হৃদপিন্ডের জন্য আদার রস খুব উপকারী।
·
বসন্ত রোগে আদার রস দিয়ে ঔষধ তৈরি করা হয়।
·
শরীর শীতল ও মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে আদা।
এছাড়াও......
·
কারো বমি ভাব হলে আদাকুচি করে চিবিয়ে খান কিংবা আদার রসের সাথে চিমটি পরিমাণ লবণ মিশিয়ে খান। সাথে সাথেই রেজাল্ট পাবেন।
·
বেশ খানিকটা আদা ছেঁচে নিয়ে ২কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে চায়ের মতো খেলে ভাজাপোড়া খাওয়ার বুক জ্বালা-পোড়া সারিয়ে দেবে।
·
শরীরের ব্যথা সারাতে আদার রস সরাসরি লাগান, কিংবা রস করে খেয়ে নিন। ব্যথা সেরে যাবে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
·
নিয়মিত সকালে আদা দিয়ে চা খেলে পেট ব্যথা ও পেটের হজম সমস্যা থেকৈ মুক্তি দেবে।
·
আধা সেদ্ধ ডিমের সাথে আদার রস মিশিয়ে খেলে পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্পার্ম কাউন্ট উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে যায়।
·
মেয়েদের মাসিকচক্র ঠিক রাখতে কার্যকর। এছাড়া মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হলে আদা সেদ্ধ পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে স্যাঁক নিলে কমে যাবে।
·
আদাতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো এসিড শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। প্রতিদিন আদার রসের চা খেলে ধমনিতে চর্বি জমতে দেয় না, ফলে হৃদযন্ত্র ঠিক থাকে।
·
আদাতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের জীবানুকে ধ্বংস করে মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখে।
·
মাইগ্রেনের ব্যথা হলে আদা পেস্ট করে কপালে লাগালে ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যায়।
·
আদাতে আছে এন্টি-ফাংগাল ও এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা দেহের বাইরের অংশের ঘা জাতীয় সংক্রামণ রোগকে ধ্বংস করে।
:::: আদা’র ব্যবহার ক্ষেত্র ::::
আদা একটি উদ্ভিদ মূল। সাধারনতঃ তরকারির মসলা ও ভেষজ ঔষধ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরিতে, সুগন্ধি, আচার, ঔষধ তৈরিতে ও রুপচর্চায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
:::: আদা খাওয়ার নিয়ম ::::
·
হজম সমস্যায় আদা ছিলে লেবুর রস মিশিয়ে খান।
·
সারাদিনে ৫০ গ্রাম পরিমাণ আদা খান। পাউডার জিঞ্জার আধা চমচ করে দিনে ৩বার খান।
·
চা’য়ের সাথে খেতে দুধ, দারুচিরি, লবঙ্গ, তেজপাতা সাথে আদা মিশিয়ে চিনি দিয়ে খান।
·
হজম সমস্যা বেশি হলে আদার সিরাপ বানিয়ে নিন। সিরাপ বানাতে জিরা গুঁড়ো, বিট লবণ, লেবুর রস, আদার রস ও ঠান্ডা পানি একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। দুপুরে বা রাতে খাবারের পর খেতে পারেন। খুব কাজে দেবে।
·
লবণ মরিচের সাথে আদার টুকরো কিছুদিন রেখে দিলে খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারবেন।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
:::: আদা খাওয়ায় সতর্কতা ::::
·
গর্ভাবস্থায় সারাদিনে ২৫০ গ্রামের বেশি আদা খাওয়া যাবে না, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
·
গলস্টোনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আদা খেতে হবে।
আশা করছি আদা’র জাহাজের খবর পেয়ে গেছেন। পুষ্টিগুণ, ঔষধীগুণ, স্বাস্থ্যগুণ, খাওয়ার কৌশল বা নিয়ম এবং সাবধানতা বোঝাতে পেরেছি।
ভাল থাকবেন। আজ ছাড়ছি, কথা হবে অন্য কোনো লেখার মাধ্যমে। ইনশাআল্লাহ্!
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, “Sobar Jonno Blog” –এর সাথে থাকার জন্য।
নিজে জেনে অন্যকে জানাতে শেয়ার করুন।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।