বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে বহুল প্রচলিত তেজপাতা যেকোনো মুদি দোকানে কম দামে কিনতে পাওয়া যায়। এটি একটি সুগন্ধিযুক্ত ঔষধী পাতা। স্যুপ, পায়েস, পোলাও , বিভিন্ন তরকারি ও অন্যান্য সেদ্ধ জাতীয় খাবারে সুগন্ধ যোগ করতে তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে আজও পর্যন্ত সারা বিশ্বে ওষুধ তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তেজপাতা কী শুধুই পাতা? জানুন তেজপাতার স্বাস্থ্য গুণ । Is bay leaf just a leaf? Know the health benefits of bay leaves |
‘সবার জন্য ব্লগ’
-এ আজকের লেখাতে থাকছে “তেজপাতা কী শুধুই পাতা?
জানুন তেজপাতার গুণ।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
তেজপাতার উপাদান:
এই জাদুকরি পাতায় আছে- ভিটামিন এ, ভিটামিন
সি ও ফলিক অ্যাসিড। সাথে রয়েছে, কপার, আয়রন, জিংক, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম।
তেজপাতার স্বাস্থ্যগুণ:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:
কোনো ব্যক্তি দিনে দুইবার যদি তেজপাতা
গ্রহণ করে তাহলে তাঁর রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আসে।গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, তেজপাতায়
থাকা উপাদান ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেজপাতা গ্রহণ
খুবই উপকারী।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
হজম ক্ষমতায়:
কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে আমরা কম বেশি সবাই
পরিচিত। এর এর যন্ত্রণা বেশ কষ্টদায়ক। তেজপাতা আপনার হজম ক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখবে।
এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে, হজম রস তৈরি করে, অতিরিক্ত প্রস্রাবের মাত্রা
কমায়, এতে থাকা এনজাইম দ্রুত খাবার ভাঙতে পারে; ফলে অন্ত্রের সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে
তেজপাতা।
ব্যথা উপশমে:
তেজপাতা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে
দারুণভাবে। যেকোনো ধরনের মাথা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা ও বাতের ব্যথা কমাতে কার্যকরি।
তেজপাতার তেল কপালে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা চলে যাবে।
ক্যান্সারের বিরোধীতায়:
কয়েকটি গবেষণা জানাচ্ছে যে, তেজপাতা
ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে দেয়। এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়ান্স ও ক্যাটচীন উপাদান ক্যান্সারের
কোষকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। একটি গবেষণা সূত্রে জানা যায় যে, তেজপাতার উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সারের
জন্য কার্যকরী।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
ঘা, ক্ষত নিরাময়ে:
তেজপাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল
ও মাইক্রোব্যাকটেরিয়াল উপাদান দ্রুত সময়ে ঘা, ক্ষত সারিয়ে তোলে। এটি ক্যন্ডিডার মতো
ছত্রাক সংক্রামণ থেকে স্বস্তি দেয়।
কিডনি পাথরে:
আমরা জানি, শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে
গেলে কিডনির সমস্যা হয় এবং গ্যাসের সমস্যাও তৈরি করে। তেজপাতায় থাকা ঔষধী উপাদান দেহের
ইউরিয়া কমায় এবং অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে।
মানসিক চাপ কমাতে:
আমাদের দেহে ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক।
সাথে বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপেও ভূগতে হয়। চটজলদি তেজপাতার এক কাপ চা পান করলেই মিলবে
এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। সাথে স্নায়ু শান্ত করে দিবে ভালো ঘুম।
খুশখুশ কাশিতে:
ঠান্ডা, গলা ব্যথা ও খুশখুশ কাশিতে
ব্যকটেরিয়া দূর করতে ৪-৫টি তেজপাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে কুসুম ঠান্ডা করে নিন। পরিষ্কার
কাপড় এই পানিতে ভিজিয়ে কয়েকবার বুক মুছে নিন। সাবধান খুব গরম যেনো না থাকে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে:
তেজপাতায় থাকা রুটিন ও ক্যাফেক এসিড
হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি
কমায়।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
চুল গজাতে ও খুশকি তাড়াতে:
যারা খুশকি সমস্যা ও চুল পড়ে যাওয়া
নিয়ে বিপাকে আছেন, তারা কয়েকটি তেজপাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে নিন।
তারপর এই পানি দিয়ে চুল স্কাল্প ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই শ্যাম্পু করার পরে এটি করবেন। তেজপাতা
বেটে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য স্কাল্পে লাগালে মাথার ত্বক চুলকানি
দূর হয়।
সতর্কতা : গর্ভবতী মা ও সদ্য মায়েদের জন্য তেজপাতা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাছাড়াও সার্জারি রোগীদের স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলার শংকায় দুই সপ্তাহ এই পাতা ক্ষেতে নিষেধ করা হয়।
উল্লিখিত সমস্ত তথ্য অনলাইনভিত্তিক।
বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ তুলে ধরা হলো,
সতর্কতা
: অবশ্যই ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।