পিত্তথলির পাথর কি? কাদের হয়? পিত্তথলির পাথর হওয়ার লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা । What are gallstones? Whose is it? Gallstones Symptoms, Remedies and Treatment

 

আস্ সালামু আলইকুম।

 সবার জন্য ব্লগ -এ আজকের লেখাতে থাকছেপিত্তথলির পাথর কি? কাদের হয়? পিত্তথলির পাথর হওয়ার লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা” ।

 

পিত্তথলির পাথর কি, পিত্তপাথর কাদের হয়, পিত্তপাথর কেন হয়, পিত্তথলির পাথর হওয়ার লক্ষণ, পিত্তথলির পাথরের প্রতিকার ও চিকিৎসা, পিত্তপাথরের ঘরোয়া চিকিৎসা, পিত্তপাথরের মেডিসিন বা ঔষধ, পিত্তপাথরে করণীয় সহজ উপায়, পিত্তপাথরের সার্জারী, পিত্তপাথরের অপারেশন খরচ, পিত্তপাথরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির সহজ উপায়, পিত্তপাথর প্রতিরোধে করণীয়, পিত্তথলির পাথর থেকে প্রতিকার, কাদের সবচেয়ে বেশি পিত্তপাথর হয়, What is gallstones, who gets gallstones, why gallstones occur, symptoms of gallstones, gallstones remedies and treatment, gallstones home remedies, gallstones medicine, easy remedies for gallstones, gallstones surgery, gallstones operation cost, easy ways to get rid of gallstones pain , Gallstone Prevention, Gallstone Remedies, Most Gallstones
পিত্তথলির পাথর কি? কাদের হয়? পিত্তথলির পাথর হওয়ার লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা । What are gallstones? Whose is it? Gallstones Symptoms, Remedies and Treatment

পিত্তথলির পাথর/গল স্টোনস কি:


পিত্তথলি পিত্ত সঞ্চয় করে, লিভার দ্বারা উৎপাদিত একটি হজম রস। এই রস তরল ও কঠিন উভয়ই হয়ে থাকে। পিত্তথলি এই সঞ্চিত পিত্তকে হজমের জন্যে ক্ষুদ্রান্ত্রে ছেড়ে দেয়। গল ব্লাডার হলো পেটের ডান দিকে লিভারের নিচে একটি ছোট অংগ। রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে বা বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পিত্তরস ক্ষরণে বাধা পড়ে। তখন সেই পিত্তরস পিত্তথলিতে জমে পাথর তৈরি করে। এটাকেই পিত্তথলির পাথর বলা হয়ে থাকে।

এই পাথর বিভিন্ন রঙে বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। পিত্ত পাথরের কোনো উপসর্গ বা যন্ত্রণা না থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না।

 

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

পিত্তথলির পাথর/গল স্টোনস কাদের হয়:

          # মহিলাদের পিত্ত পাথর বেশি হয়।

          # ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের বেশি হয়।

          # যাদের ডায়াবেটিস আছে।

          # হাই ফ্যাট ডায়েটে অভ্যস্ত।

          # যারা উচ্চ কোলেস্টেরলে ভোগে।

          # যাদের যকৃতের রোগ আছে।

          # অনিয়মিত খাবার গ্রহণ যারা করে।

          # যারা খাবার গ্রহণের মাঝে দীর্ঘ সময় গ্যাপ দেয়।

# যারা জীবন যাপনে নিয়ম মেনে চলে না।

# যারা ওজন কমানোর জন্য সার্জারী করে থাকে।

 আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


পিত্তথলির পাথর/গল স্টোনস হওয়ার লক্ষণ:

          # পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া।

          # নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে পেটে ব্যথা শুরু হওয়া।

          # পিঠে বা কাঁধে ব্যথা।

          # বমি বমি ভাব।

          # বমি হওয়া।

          # জ্বর আসা।

          #  অতিসার।

          # প্রস্রাব ও মলের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা দেওয়া।

          # শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া।

          # অনেক ক্ষেত্রে জণ্ডিস হওয়া বা শরীর হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

          # অনেক ক্ষেত্রে ২/৩ দিন পর্যন্ত ব্যথা থাকে এবং তারপর ব্যথা নিবৃত হয়।

 আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


পিত্তথলির পাথর/গল স্টোনস প্রতিরোধ বা প্রতিকার:

          # নিয়মিত ব্যায়াম করা।

          # শরীরে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা।

# বেশি করে শাক সবজি এবং ফলমূল খাওয়া।

# ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া।

# দ্রুত ওজন কমানো এড়িয়ে চলা।

# ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা।

# শর্করা জাতীয় খাবার হ্রাস করা।

# জলপাই বা মাছের তেল খাওয়া।

 

পিত্তথলির পাথর/গল স্টোনস চিকিৎসা:



১। এলোপ্যাথিক চিকিৎসা : এ চিকিৎসায় প্রথমে ঔষধ ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঔষধ দিয়ে সম্ভব হয় না। তাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পিত্তথলি বা কোলেসিস্টেকটমি অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার দুটি উপায়ে কার হয়:

ক) ওপেন সার্জারি : এ সার্জারিতে সময় বেশি প্রয়োজন পড়ে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এক্ষেত্রে পেটে একক ছেদনের মাধ্যমে পিত্তথলি সরানো হয়। পিত্তথলি ফুলে গেলে বা রোগাক্রান্ত হলে কিংবা ল্যাপারোস্কোপিক অপসারণ সম্ভব না হলে ওপেন সার্জারি করা হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সার্জনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়।

খ) ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি : পেটে ৩/৪টি ছিদ্র করে একটি পাতলা টিউব বা ল্যাপারোস্কোপিক, একটি ক্যামেরা এবং অস্ত্রোপচার যন্ত্র বসানো হয়। সার্জন অপারেশন করার জন্য ক্যামেরা দ্বারা প্রক্ষিপ্ত চিত্রগুলি দেখেন এবং ছিদ্র দিয়ে পিত্তথলি বের করেন। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসায় এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে চলেছে। দেশে বিদেশে প্রায় হাসপাতালেই এই চিকিৎসা পাওয়া যায়।

 

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ  কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় 

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


২। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে একজন মানুষ অনেক টাকা নষ্ট করে এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়ে সবশেষ হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। তখন বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই তেমন কিছু করণীয় থাকেনা, তারপরও হোমিও ডাক্তাররা শেষ চেষ্টা করে থাকেন। ফলে হোমিও চিকিৎসার দোষ পড়ে যায়। কিন্তু রোগী যদি শুরু থেকেই একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেন তাহলে খুব কম খরচে অল্প যন্ত্রণায় মুক্তি পেয়ে যেতে পারতেন। ঠিক পিত্তথলির পাথরের ক্ষেত্রেও শুরুতেই যদি একজন দক্ষ হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, নিশ্চিতভাবেই রোগী ভাল ফল পাবেন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যত্রতত্র রাস্তাঘাটে বা মোড়ে মোড়ে বসে থাকা ডাক্তারের কাছে নয়। বাংলাদেশে প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ পিত্তপাথর কোনো অপারেশন ছাড়াই হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে ভাল হয়। সেজন্য ধৈর্য্য ধরে ঔষধ সেবন করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

 

সতর্কতা : রেজিস্টার প্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ঔষধ সেবন বিপদজ্জনক; যা হিতের বিপরীত হতে পারে। 

 

উল্লিখিত সমস্ত তথ্য অনলাইনভিত্তিক।

উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ তুলে ধরা হলো,

সতর্কতা : অবশ্যই ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

সবার জন্য ব্লগ’ এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ