আস্
সালামু আলইকুম।
‘সবার জন্য ব্লগ’ -এ আজকের লেখাতে থাকছে জন্ডিস নিয়ে আর্টিকেল
“জন্ডিস এর বিস্তারিত এ টু জেড” ।
জন্ডিস এর বিস্তারিত এ টু জেড । Jaundice details A to Z
জন্ডিস কি:
এটি মূলত কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ
মাত্র। জন্ডিস হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা
বেড়ে যায় ফলে ত্বক, চোখের সাদা অংশ ও অন্যান্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। রক্তে বিলিরুবিনের
ঘনত্ব 1.2 mg/dL এর নিচে থাকে। 3 mg/dL এর বেশি হলে জন্ডিস হয়। ইংরেজিতে Jaundice যা
ইক্টেরাস নামেও পরিচিত। এটি একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ হলুদাভা।
আমাদের দেহের রক্তের লোহিত কণিকাগুলো
একটা সময় স্বাভাবিক নিয়মে ভেঙে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে লিভারে প্রক্রিয়াজাত
হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্তনালীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্ত্র থেকে বিলিরুবিন
পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যায়। বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যেকোনো অসঙ্গতি
দেখা দিলে রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে যায় আর তখনই জন্ডিস দেখা দেয়।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
জন্ডিস এর উপসর্গ:
জন্ডিস হলে চোখ হলুদ হয়ে যায়। হেপাটাইটিস
রোগে জন্ডিসের পাশাপাশি, অরুচি, ক্ষুধামন্দা, জ্বর জ্বর ভাব, মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা
ইত্যাদি হয়ে থাকে। এ সব উপসর্গ দেখা দিলে জন্ডিসের আশংকা ভেবে একজন লিভার বিশেষজ্ঞের
শরণাপন্ন হতে হবে।
জন্ডিস হওয়ার কারণ:
লিভারের রোগ জন্ডিস হওয়ার প্রধান কারণ।
আমরা যা কিছু খাই না কেন তা লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়। লিভার নানা কারণে রোগাক্রান্ত
হতে পারে। হেপাটাইটিস এ বি সি ডি এবং ই ভাইরাসগুলো লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে যাকে বলা
হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস। এছাড়াও অতিরিক্ত মদ্যপান জন্ডিস হওয়ার অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
নিচে
কারণগুলো তুলে ধরা হলো:
১। লিভারের প্রদাহের ফলে রক্তে বিলিরুবিনের
মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস হয়।
২। পিত্তনালীর প্রদাহে বিলিরুবিন শোষণ ব্যহত
হয়ে জন্ডিস হয়ে থাকে।
৩। পিত্তনালী ব্লক হলে লিভার বিলিরুবিন
সরাতে ব্যর্থ হয়, ফলে জন্ডিস হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।
৪। গিলবার্টস সিনড্রোমের ফলে এনজাইমের
কার্যক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে পিত্তের রেচনতন্ত্রের সমস্যা হয়ে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে
যায় এবং জন্ডিস হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়।
৫। ডুবিন-জনসন সিনড্রোম এই বংশগত রোগে
লিভার থেকে বিলিরুবিন শোষণ হতে বাঁধা দেয়, যার ফলে জন্ডিসের সম্ভবনা বেড়ে যায়।
জন্ডিস এর প্রতিরোধ :
১। হেপাটাইটিস এ ও ই খাদ্য ও পানির
মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আর বি সি এবং ডি দূষিত রক্ত, সিরিঞ্জ ও আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে
শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই বিশুদ্ধ খাবার ও পানি পান করতে হবে। শরীরে রক্ত
নেওয়া ও সিরিঞ্জ ব্যবহারে অবশ্যই স্কিনিং করে নিতে হবে।
২। হেপাটাইটিস এ ও বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ
করতে হবে।
৩। নিরাপদ যৌনমিলন করতে হবে।
৪। নাক কান ফোঁড়াতে সুই ব্যবহার বাদ
দিতে হবে। সেভ করতে অবশ্যই নতুন ব্লেড ও ক্ষুর ব্যবহার করতে হবে।
৫। মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
৬। কল-কারখানার ধোঁয়া থেকে দূরে থাকতে
হবে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
জন্ডিসের চিকিৎসা:
যেহেতু জন্ডিস কোনো রোগ নয়, সেহেতু
এর কোনো ঔষধ হয় না। ১ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিক
হয়ে গেলে এমনিতেই এ রোগ ভাল হয়ে যায়। এ সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রামই এর উপযুক্ত চিকিৎসা।
যে কারো কথা মতো কবিরাজী ঔষধ বা অন্যান্য ঔষধ খাওয়া মোটেও ঠিক না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে
চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ে ঔষধ সেবন করা যায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঠিক কি কারণে জন্ডিস
হয়েছে তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হয়।
জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই এ রোগ থেকে বাঁচতে নিয়ম মেনে জীবন-যাপন করতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে।
বাইরের খাবার পরিহার এবং পানি ফুটিয়ে পরিবারের সবাইকে ব্যবহার করতে হবে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিসের ধরণ ও কারণ জানুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
উল্লিখিত
সমস্ত তথ্য অনলাইনভিত্তিক।
উইকিপিডিয়া
ও বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ তুলে ধরা হলো
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।