কিডনির কাজ কি? কিডনি কেন বিকল হয়? কিডনি সূস্থ ও সবল রাখতে করণীয়। What is the function of the kidneys? Why is kidney failure? To keep the kidneys healthy and strong

 

আস্ সালামু আলইকুম।

 সবার জন্য ব্লগ -এ আজকের লেখাতে থাকছেকিডনির কাজ কি? কিডনি কেন বিকল হয়? কিডনি সূস্থ ও সবল রাখতে করণীয়”।

 

কিডনির কাজ, কিডনি কেন বিকল হয়, কিডনি সূস্থ ও সবল রাখতে করণীয়, কিডনি ভাল রাখার ঘরোয়া পদ্ধতি বা উপায়, কিডনি সূস্থ রাখার খাবার বা খাদ্যতালিকা, কিডনি রোগ থেকে বাঁচতে প্রাকৃতিক উপায়, কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়, কাদের কিডনি রোগ হয়, কিডনি রোগীদের চিকিৎসা, কিডনি রোগের ঔষধ বা মেডিসিন,  Kidney function, why kidney failure, what to do to keep kidney healthy and strong, home remedies or ways to keep kidney good, food or diet to keep kidney healthy, natural way to get rid of kidney disease, what to do to prevent kidney disease, who has kidney disease, treatment of kidney patients , kidney disease medicine or medicine
কিডনির কাজ কি? কিডনি কেন বিকল হয়? কিডনি সূস্থ ও সবল রাখতে করণীয়।

কিডনির কাজ কি:

মানবদেহের অভ্যন্তরভাগে উদর গহ্বরের পশ্চাৎভাগে মেরুদণ্ডের দুই পাশে দুইটি বৃক্ক অবস্থিত, আর এই বৃক্ককেই কিডনি বলা হয়। কিডনির দৈর্ঘ্য ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি হয়। দেখতে অনেকটা শিমের মতো। রং কিছুটা বাদামী হয়। প্রতিটি কিডনি স্বচ্ছ ও পাতলা পেরিটোনিয়াম ঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে। এর ভেতর দিয়ে ইউরেটর ও রেনাল শিরা বের হয় এবং রেনাল ধমনী ও স্নায়ূ বৃক্কে বা কিডনিতে প্রবেশ করে।

জেনে রাখা ভাল- কিডনিকে বাংলায় বৃক্ক আর ইংরেজিতে Kidney বলা হয়। মেরুদণ্ডী প্রাণিদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা রেচনতন্ত্রের প্রধান অংশ। এর প্রধান কাজ রক্ত ছেঁকে বর্জ্য পদার্থ (যেমন : ইউরিয়া) পৃথকীকরণ ও মূত্র উৎপাদন। মানবদেহের সমুদয় রক্ত দিনে প্রায় ৪০ বার কিডনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়াও দেহে পানি ও তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইট , যেমন : সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসাবে হরমোন নিঃসরণ করে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

 Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

কিডনি কেন বিকল হয়:

কিডনি বিকল বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে খারাপ বিষয় হলো- সাধারণত দুটো কিডনির ৭৫ শতাংশ নষ্ট বা বিকল না হওয়া পর্যন্ত কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। মানুষের কিডনি ৭৫ ভাগ বিকল হয়ে গেলে রোগীর ক্ষুধামন্দা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, শারীরিত দূর্বলতা উত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও রাতে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়, অতিরিক্ত হেঁচকি ওঠে, ঝিমানো ভাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট অনুভব হয়, এমনকি রোগী জ্ঞান হারিয়েও ফেলতে পারে। অধিকাংশ রোগীর উচ্চরক্তচাপ ধরা পড়ে। চামড়া শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে হাত পায়ের মাংসপেশী শুকিয়ে যায়, যেকারণে রোগী চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলে।

# ৫০ – ৫৫ শতাংশই গ্লোমেরুলো নেফ্রাইটিস বা কিডনির ছাঁকনি প্রদাহ রোগের কারণে কিডনি বিকল হয়।

# ১৫ – ২০ ভাগ ডায়াবেটিসজনিত রোগের কারণে কিডনি বিকল হয়।

# ১০ – ১৫ ভাগ কিডনি বিকল হয় উচ্চরক্তচাপজনিত রোগের কারণে।

# কিডনি বা প্রস্রাবের রাস্তায় পাথর ও অন্য রোগের কারণে ৭ – ১৯ শতাংশ কিডনি বিকল হয়।

# বিভিন্ন ঔষধ নিয়ম মেনে সেবন না করার কারণে কিডনি বিকল হয়।

# বংশগত কারণে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে কিডনি বিকল হয়।

# প্রস্রাবজনিত রোগের কারণেও কিডনি বিকল হয়।

# এছাড়াও ডাক্তারদের মতে, অজানা কিছু কারণেও কিডনি বিকল হতে পারে।

 Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

কিডনি সূস্থ ও সবল রাখতে করণীয়:

          ১। নিজেকে সবল ও কর্মব্যস্ত রাখতে হবে।

          ২। নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

৩। রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

৪। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

৫। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৬। অবশ্যই ধূপমান পরিহার করতে হবে।

৭। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে; বিশেষ করে ব্যথার ও অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ।

৮। গলাব্যথা, জ্বর ও ত্বকে খোসপাঁচড়ার দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে।

৯। প্রস্রাবের ইনফেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে হবে।

১০। চর্বি জাতীয় খাবার ও লবণ কম খেতে হবে।

১১। পাঁচ রঙের সবজি খেতে হবে।

 Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


কিডনি বিকল বা নষ্ট হয়ে যাওয়া একটি নিরব ঘাতক ব্যাধি। কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল, তাই অবহেলা না করে কিডনি বিকল হওয়ার আগেই নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে প্রতিরোধ করুন।

 

সতর্কতা : রেজিস্টার প্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ঔষধ সেবন বিপদজ্জনক; যা হিতের বিপরীত হতে পারে।

 Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


উল্লিখিত সমস্ত তথ্য অনলাইনভিত্তিক।

উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ তুলে ধরা হলো,

সতর্কতা : অবশ্যই ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

সবার জন্য ব্লগ’ এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ