আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!
সবাই
সূস্থ্য জীবনে বসবাস করছেন এই প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি নতুন আর্টিকেল, “গাজরের
গুনাগুণ, গুরুত্ব ও স্বাস্থ্য উপকারিতা”
![]() |
গাজরের গুনাগুন, গুরুত্ব ও স্বাস্থ্য উপকারিতা । The quality, importance and health benefits of carrots |
লোভনীয় সবজি গাজর।
গাজর শীতকালীন রোগ-বলায় থেকে মুক্ত থাকার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম। গাজরের ভিটামিন ও
মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যার ফলে সর্দি-ঠান্ডা ও কাশি থেকে মুক্তির
জন্য আমাদের দেহ কাজ করতে পারে; সেজন্য গাজরকে সুপার ফুড বলে ডাকা হয়।
আরো পড়ুন : গাজরের হালুয়া তৈরির রেসিপি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
গাজরের পুষ্টিগুণ :
১০০ গ্রাম অর্থ্যাৎ ১
কাপ পরিমাণ গাজর থেকে পাওয়া যায়- খাদ্যশক্তি ৪১ কিলোক্যালরি, খাদ্যআঁশ ২.৮ গ্রাম,
ভিটামিন বি ১০.০৪ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫.৯ মাইক্রোগ্রাম,
ভিটামিন কে ১৩.২ মাইক্রোগ্রাম, ফোলেট ১৯ মাইক্রোগ্রাম, পটাসিয়াম ৩২০ মিলিগ্রাম,
ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম এবং ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম
পাওয়া যায়। এছাড়াও বিটাক্যারোটিন ৮২৮৫ মাইক্রোগ্রাম ও ১৬৭০৬ ওট ভিটামিন এ পাওয়া
যায়।
গাজরের গুনাগুণ ও গুরুত্ব :
· গাজরের
অন্যতম গুণ হচ্ছে, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে; এতে থাকা বিটাক্যারোটিন ভিটামিন এ তে
রুপান্তরিত হয়ে চোখের সার্বিক উপকার করে।
·
গাজরে
থাকা আলফা ক্যারোটিন ও লুটিন নামক উপাদান হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
·
গাজরে
থাকা পুষ্টি উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ নিরাময় করে।
· গবেষণায়
প্রমাণিত, গাজরে থাকা ফ্যালক্যারিনল ও ফ্যালক্যারিডিওল ফুসফুস ও অন্ত্রের
ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
· এতে
থাকা ভিটামিন এ রক্তের ক্ষতিকর টঙ্কি উপাদান শরীর থেকে বের করে দেয়।
· গাজরে
থাকা ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান দাঁত ও মাড়ির সূস্থতা নিশ্চিত করে।
আরো পড়ুন : গাজরের হালুয়া তৈরির রেসিপি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
· যাদের
কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, গাজর এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
· গর্ভাবস্থায়
গাজরের রস খেলে শিশুর জন্ডিস ঝুঁকি একেবারে কমে যায়।
· শরীরের
যেকোনো ক্ষত নিরাময়ে গাজরের গুরুত্ব অপরিসীম। মধুর সাথে গাজরের পাতা খেলে বেশি
উপকার পাওয়া যায়।
· গাজর
ও গাজরের স্যুপ ডায়রিয়া রোধ ও কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
· গাজরের
সাথে কয়েক কোঁয়া রসুন মিশিয়ে খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
· গাজরে
আছে ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ, যা ত্বকের কোষ পরিষ্কার করে ত্বকের খসখসে ভাব,
ত্বকের ভাঁজ ও ব্রণ দূর করে।
·
এই
সবজিটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর করে দেয়।
· গাজরে
থাকা পুষ্টি উপাদান চুল, ত্বক এবং নখের স্যেন্দর্য্য বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুন : গাজরের হালুয়া তৈরির রেসিপি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
গাজরের স্বাস্থ্য উপকারিতা :
·
মুখের ঘাঁ ও ডায়াবেটিক প্রতিরোধক :
ধূমপানের ফলে বা অ্যালকোহল সেবন করে যাদের
মুখে ঘাঁ হয়ে গেছে অথবা ডায়াবেটিক এর কারণে ঘাঁ শুকাতে দেরি হয়, তারা গাজর খেলে
এসব ঘাঁ শোকানোসহ জিহ্বার রোগও সেরে যায়, এছাড়াও গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন রক্তে
গ্লাুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয় ফলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে থাকে।
·
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে :
লাল কমলা রঙের ফলমূল অথবা সবজি দৃষ্টিশক্তি
বৃদ্ধি করে। যেমন : গাজর, মিষ্টিকুমড়া, তরমুজ। এগুলোতে থাকা বিটা ক্যারোটিন
ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়ে দৃষ্টিশক্তির উন্নতির পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত অন্যান্য
সমস্যা সমাধান করে থাকে।
·
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :
প্রতিদিন পরিমাণমতো গাজর বা গাজরের জুস খেলে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি করে। এটি শরীরের ক্ষতিকর জীবাণূ
ভাইরাস এবং বিভিন্ন রকমের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।
·
হৃদযন্ত্র সূস্থ্য ও সবল রাখে :
গাজর ডায়েটরি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ
খাবার, এই উপাদানগুলি ধমনির ওপর কোনো কিছুর আস্তর জমতে দেয় না এবং রক্ত চলাচলে
স্বাভাবিকতা বজায় রাখে। এর ফলে শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও পর্যাপ্ত ঘুম হয়,
সে কারণে হার্ট সবল ও সূস্থ্য থাকে।
·
ত্বকের শুষ্কতা দূর করে :
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ
উপস্থিত থাকায় গাজর মানবদেহের ত্বকের শুষ্কতা দূর করে স্বাভাবিক রাখে।
·
হৃদযন্ত্র সূস্থ্য ও সবল রাখে :
গাজর ডায়েটরি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ
খাবার, এই উপাদানগুলি ধমনির ওপর কোনো কিছুর
·
শ্বাসতন্ত্রের যত্ন নেয় গাজর :
শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন :
অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, এমফিসেমা এই ধরনের রোগ থেকে গাজর নিশ্চিন্ত রাখে। গাজরে থাকা
বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
·
বয়সের ছাপ রোধ করে :
গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানুষের বয়সের
ছাপ পড়া থেকে রোধ করে। এতে থাকা ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
·
কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে :
গাজরের জুস কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার
নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা পটাসিয়াম এর মূল কারণ। গাজরে
ক্যালরি ও সুগারের পরিমাণ কম থাকায় চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন : গাজরের হালুয়া তৈরির রেসিপি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
সতর্কতা :
যারা নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন তারা অবশ্যই সকাল ও
রাতে খাবার পর এবং ওষুধ সেবনের ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর গাজর খাবেন; নয়তো যকৃতে toxic
উপাদান তৈরি হতে পারে।
আশা করছি, “গাজরের গুনাগুণ, গুরুত্ব ও স্বাস্থ্য উপকারিতা”
লেখাটি আপনাদের পজেটিভ ভাবনা যোগ করতে পেরেছে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
আরো পড়ুন : গাজরের হালুয়া তৈরির রেসিপি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।