শশার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও জানুন । Learn the pros and cons of cucumber

 

আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ !

সবাই সূস্থ্য জীবনে বসবাস করছেন এই প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি নতুন আর্টিকেল, “শশার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও জানুন


শশার উপকারিতা, শশা খাওয়ার অপকারিতা, শশার ঔষধী গুণ, শশার তরকারির উপকারিতা, কাঁচা শশা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, শশার সালাদের উপকারিতা ও অপকারিতা, ত্বকের সৌন্দর্য্যে শশা, দাগ দূর করতে শশার ব্যবহার, বয়স ধরে রাখতে শশার ব্যবহার, পানির বিকল্প হিসেবে শশা, রোদ থেকে বাঁচতে শশা, শশার ব্যবহার
শশার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও জানুন । Learn the pros and cons of cucumber

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here




গ্রীষ্ম কিংবা শীত অথবা অন্যান্য যেকোনো ঋতুতে শশা আমাদের কাছে একটি জনপ্রিয় ও লোভনীয় সবজি। শশা এমন একটি সবজি যা আমরা তরকরি করে, সালাদ করে ও কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে থাকি খুব মজা করে। বিশেষ করে গরমের সময় শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে শশার তুলনা হয় না। নিচে শশার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা তুলে ধরা হলো :

 

প্রথমেই জানব, শশার উপকারিতা -


·  হার্টকে সূস্থ্য ও সবল রাখে : বহু গবেষণায় প্রমাণিত যে, নিয়মিত শশা খাওয়াতে দেহে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে, হার্টের কোনো ধরনের রোগ ধারে কাছে আসতে পারে না। তাই যে পরিবারে হার্টের রোগী বেশি সে পরিবারের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত শশা রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।

·     ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে : আপনি যদি নিয়মিত শশা খান তবে, দেহে পানির পরিমাণ বেড়ে ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক বেরিয়ে যায়। এর ফলে ত্বক টানটান হয়, ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর হয়ে বয়সের ভাব কম দেখায়। শশাতে থাকা সিলিকা নামক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করে কোষদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, এর প্রভাবে ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি পেশী, লিগামেন্ট ও হাড়ের শক্তি বাড়িয়ে তোলে।

·     ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে : শশা খেলে শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়াও ডায়াবেটিক সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যাও কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই তরকারিতে হোক আর কাঁচা হোক শশা খান।

·  গরমে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে : প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ! শশা খান আপনাকে ডাক্তার হয়ে সেবা দেবে। শশা দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর ফলে সানস্ট্রোক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। এছাড়াও রোদে ত্বক পুড়ে গেলে শশা লাগান, পোড়া ভাব কমিয়ে দেবে।

Find out all the news from here


Learn more health tips and lifestyle here


·     ওজন বৃদ্ধি রোধ করে : অতিরিক্ত মোটা ধরনের মানুষ বা যারা মনে করছেন খাওয়ার কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যাচ্ছে, তাঁরা সকাল বিকাল শশা খাওয়ার অভ্যেস গড়ুন। শশাতে থাকা কয়েকটি উপাদান শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে দেবে িএবং আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে।

·   ক্যান্সারকে দূরে রাখে : ক্যান্সার নামক মরণ ব্যাধিটি এখন সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করতে চলেছে। বিশ্বের ক্যান্সার গবেষকগণ খুবই উদ্বিগ্ন। সে কারণে গবেষকগণ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে সেসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে শশা অন্যতম, কারণ শশার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক বিশেষ বিশেষ উপাদান।

·    ভিটামিনের ঘাটতি মেটায় : শশাতে রয়েছে ভিটামিন ‍এ বি ও সি সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি। তাই শশা খেলে শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে যেমন শক্তি জোগায় তেমনিভাবে ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে চোখে পড়ার মত।

·   খনিজের ঘাটতি মেটায় : শশাতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও সিলিকন। এই সবকটি উপাদান শরীরের খনিজের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। তাই খেয়ে যান শশা।


·  কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমায় : এই সবজিটি মধ্যে আছে ফাইবার, যা শরীরের বর্জ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বাধা দেয়, তাই নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখতে শশার বিকল্প নেই।


জেনে রাখুন, শসার অপকারিতা

নিশ্চয় জানেন, সব ভালরই মন্দ আছে। সেটা কোনো ক্ষেত্রে কম আর কোনো ক্ষেত্রে বেশি। অতিরিক্ত পৃথিবীর যেকোনো জিনিসই ক্ষতিকর। তাই বহু উপকারি সবজি শশারও কিছু ক্ষতিকর দিক জেনে রাখুন....

·     যেহেতু শশা একটি লো ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই একনাগারে শুধু শশা খেয়ে ওজন কমাতে গেলে বিপত্তিতে পড়তে হবে। কারণ যেকোনো লো ক্যালরিযুক্ত খাবারই শরীরের শক্তি জোগাতে বাধাগ্রস্থ করে। এর ফলে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিবে, আপনি হয়ে পড়বেন দূর্বল।

·      খিদে লাগলে বারবার শশা খেয়ে খিদে নিবারণ করতে থাকলে পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিবে। তাই শরীরে প্রয়োজন এমন সব খাবারের পাশাপাশি শশা খান।

·  ওজন কমাতে গিয়ে শুধু শশা খেয়ে শরীর গঠন করতে গেলে বিপদে পড়তে পারেন। শরীর দূর্বল হয়ে কাজ করার শক্তি হারাবেন, ফলে দেহের ভেতরে অলসতা চলে আসবে। এছাড়াও রক্তে গ্লুকোজ কমে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন।

Find out all the news from here


Learn more health tips and lifestyle here

 

তাই পরামর্শ ও উপদেশ, শশা নামক সবজিটিকে উপকারি হিসেবে ব্যবহার করুন, অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ডায়েটে যুক্ত করুন শশা। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সূস্থ্য ও সুন্দর থাকুন।

 

আশা করছি,শশার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও জানুনলেখাটি আপনাদের পজেটিভ ভাবনা যোগ করতে পেরেছে।

 Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


নিজে জেনে অন্যকে জানতে শেয়ার করুন, মন্তব্য লিখুন আর সবার জন্য ব্লগ এর সঙ্গেই থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ