দেখতে ভারি সুন্দর বর্ষাকালের ফল কামরাঙ্গা। ভিটামিনে ভরপুর রসালো কামরাঙ্গা ফলটি কিছু কিছু গাছে সারাবছর-ই ধরে থাকে। বিশেষ আকৃতির এই ফলটি কাঁচা
অবস্থায় ফ্রেশ সবুজ ও টক হলেও পাকলে মিষ্টি হলুদ রঙে পরিণত হয়। দারুণ সুস্বাদু এই
ফলটির পুষ্টিগুণ যেমন স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি,
তেমনি কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। সেসব
জানাতেই আজকের আর্টিকেলে লিখছি, “কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ, উপকার ও অপকার”
![]() |
কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ, উপকার ও অপকার । Nutrition, Benefits And Harms Of Kamranga |
সবাই ভাল আছেন প্রত্যাশা রেখে “Sobar Jonno Blog”-এ যোগ করছি, “কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ, উপকার ও অপকার”। আশা করছি উপকৃত হবেন।
:::: কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ ::::
পাকা কামরাঙ্গা
খেতে টক মিষ্টি মেশানো হয়। অনেক রসে ভর্তি কামরাঙ্গা’র পুষ্টিগুণ অনেক। এছাড়াও এই ফলটিতে রয়েছে
বিশেষ ২টি উপাদান-
ক) অক্সালিক অ্যাসিড। (এটি টক অবস্থায় বেশি থাকে)
খ) ক্যারাম্বক্সিন।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
প্রতি ১০০
গ্রাম খাবার উপযোগী কামরাঙ্গা-তে পাওয়া যায়-
শক্তি ৫০ কিলোক্যালরি, ভিটামিন সি ৩৪ গ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড বি৫ ৩৯ মিঃগ্রাম, ফোলেট ১২ মাইক্রোগ্রাম, প্রোটিন ১.০৪ গ্রাম, স্নেহ ৩ গ্রাম, ফাইবার ২.৮ গ্রাম, ফাইবার ২.৮ গ্রাম, চিনি ৩.৯৮ গ্রাম, শর্করা ৬.৭৩ গ্রাম, ভিটামিন সি ৩৪ গ্রাম, এছাড়াও ভিটামিন এ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ; যা নিশ্চিতভাবেই আমাদের শরীরের নানাবিধ পুষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করে।
:::: কামরাঙ্গার স্বাস্থ্য উপকারিতা::::
১. সর্দি-কাশিতে ভূগলে কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
২. কামরাঙ্গা ভর্তা করে খেলে পাকস্থলি সূস্থ্য থাকে, ফলে বদহজম দূর হয়ে যায় ও হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও
খাবারের
রুচি
বৃদ্ধি
পায়।
৩. এই ফলটিতে থাকা এলজিক এসিড খাদ্যনালীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৪. কামরাঙ্গা গাছের পাতা ও কচি ফলের রস ট্যানিনে ভরপুর, যা আমাদের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
৫. পাকা কামরাঙ্গার ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
৬. এই ফল ও গাছের পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে বমি বন্ধ হয়।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
৭. কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।
৮. এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়।
৯. পেটের ব্যথা হলে কামরাঙ্গা খেলে উপকার মেলে।
১০. জ্বর হলে শুকনো কামরাঙ্গা খেলে জ্বর ভাল হয়ে যায়।
১১. এই গাছের শেকড় বিষনাশক ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১২. কামরাঙ্গা শীতল ও টক, তাই বাত কফ ও ঘামের জন্য খুব উপকার।
১২. যারা অর্শ রোগের সমস্যায় ভূগছেন, তাঁরা ২গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়ো পানির সাথে প্রতিদিন একবার করে খেলে অনেক উপকার পাবেন।
১৩. কামরাঙ্গায় থাকা ভিটামিন সি নখ, দাঁত ও দাঁতের মাড়ি ভাল রাখে। এছাড়াও
ব্রণের
সমস্যা
থেকে
মুক্তি
দিতে
পারে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
:::: কামরাঙ্গার অপকারিতা::::
মূলতঃ কামরাঙ্গায় যেসব উপাদান উপস্থিত, তা মানবদেহের উপকার সাধন করে থাকে। তবে
বিশেষ
কিছু
ক্ষেত্রে অপকার
করে
থাকে-
·
যাদের কিডনির
সমস্যা
রয়েছে, তারা যদি অল্প পরিমাণ কামরাঙ্গা, কয়েক টুকরো বা কামরাঙ্গার রস খায় তাহলেই কিডনি বিকল হয়ে যাবে।
·
যাদের কিডনি
ভাল, তাদের জন্য মাঝে মাঝে খাওয়া বা স্বাভাবিক পরিমাণে খেলে কোনো ক্ষতি হয় না, তবে অনেকদিন ধরে অধিক পরিমাণে খেলে শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালিক এসিড জমে অক্সালেট নেফ্রোপ্যাথি হয়ে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
·
যাদের ক্রনিক
কিডনি
ডিজিজ
রয়েছে, যেটাকে ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর বলা হয়, তারা কামরাঙ্গা খেলে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। আর এ থেকে মৃত্যুর হার বেশি।
অতএব, কামরাঙ্গা খাওয়ার
ক্ষেত্রে অবশ্যই
সাবধানতা অবলম্বন
করতে
হবে। মূলতঃ
না জেনে, না বুঝে কোনো কিছুই ইচ্ছেমতো খাওয়া বা ব্যবহার করা ঠিক না। সেটা
নিজের
কাছে
যতই
নিরাপদ
মনে
হোক
না কেন। তাই
আসুন
সচেতন
হয় এবং অন্যকে সচেতন হতে সাহায্য করি। সবাইকে
নিয়ে
ভাল
থাকুন।
আশা করছি “কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ, উপকার ও অপকার” লেখাটির মাধ্যমে কিছু পজেটিভ তথ্য দিতে পেরেছি।
আজ ছাড়ছি, কথা হবে অন্য কোনো লেখার মাধ্যমে। ইনশাআল্লাহ্!
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, “সবার জন্য ব্লগ” –এর
সাথে থাকার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।