যেহেতু বাংলাদেশ এখন ফ্রিল্যান্স সেক্টরে দিন দিন বেশ ভালো করা শুরু করেছে, সেহেতু এই সেক্টরে অনেক নতুন নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। তাদের অনেকে আবার র্সাচ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে আগ্রহী। কিন্তু সমস্যা হলো যেহেতু এটি একটি র্দীঘ প্রক্রিয়া, তাই অনেকে ভালো শুরু করেও ধৈর্যের অভাবে ঝরে পড়ছে।
র্সাচ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন-এ এক্সর্পাট হতে হলে প্রচুর পরিমাণ ডেডিকেশন এবং সময় ব্যয় করতে হয়। তবে সঠিক উপায় জানতে পারলে আরও দ্রুত সময়ে এই ফিল্ডে এক্সর্পাট হয়ে যায়।
অভিজ্ঞ ও প্রফেশনাল SEO এক্সপার্ট হওয়ার গাইডলাইন । Guidelines to become an experienced and professional SEO expert
কম্পিউটার ও টেকনোলজি শিখুন ফ্রি-তে এখানে ক্লিক করে
‘সবার জন্য ব্লগ’ –এ আজকের লেখাতে থাকছে-
“অভিজ্ঞ ও প্রফেশনাল SEO এক্সপার্ট হওয়ার
গাইডলাইন”
১। এসইও-এর বেসিক ভালো করে আয়ত্ত করা:
একজন দক্ষ র্সাচ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হতে হলে আপনাকে সর্ব্প্রথম র্সাচ ইঞ্জিনের মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে হবে। এখন অনেক বলবেন, ভাই আমরাতো অলরেডি এসইও নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এখন আর বেসিক শিখে কী হবে?
ভাইয়া/আপু, এসইও এক্সর্পাট
হতে হলে আগে অবশ্যই বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে পর্যাপ্ত পড়াশুনা করতে হবে। এই বেসিক এর
মধ্যে কী কী থাকতে পারে?
এসইও-এর বেসকি জানতে হলে আপনাকে এই তিনটি বিষয়
সর্ম্পকে আইডিয়া রাখতে হবে-
ক. কন্টেন্ট এবং ইউজারের ইনটেন্ট বুঝতে হবে।
অর্থাৎ কি-ওর্য়াডগুলো আসলে র্সাচ-এর সঠিক ইনটেন্ট র্সাভ করছে কিনা বা ইউজার যা চাচ্ছে তা কন্টেন্টে
পাচ্ছে কিনা।
খ. র্সাচ ইঞ্জিন
কীভাবে কাজ করে তার সর্ম্পকে আইডিয়া নেওয়া।
গ.
ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করার জন্য কী কী টুলস প্রয়োজন হয় তা সর্ম্পকে আইডিয়া নেওয়া।
২। নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা:
যখন
আপনি বেসিক বিষয় আয়ত্তে নেবেন, তখন সেগুলো অ্যাপ্লাই করতে হলে আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইটের
অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ বেসিক বিষয়গুলো কোনো প্রতিষ্ঠান আপনাকে অ্যাপ্লাই করে দেখতে দেবে
না।একটিা বিষয় অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন যে আপনি কখনো অন্যের ওয়েবসাইটে আন্দাজে এসইও
করতে যাবেন না। প্রথমে নিজে প্র্যাকটিস করুন। তারপর সফল হলে অন্যের সাইটে গিয়ে কাজ
করুন, অথবা ফ্রিল্যান্সিং করুন। তাতে আপনার জন্যই ভালো হবে।
কম্পিউটার ও টেকনোলজি শিখুন ফ্রি-তে এখানে ক্লিক করে
৩। র্সাচ ইঞ্জিন কীভাবে কাজ করে তা সর্ম্পকে আইডিয়া নেওয়া:
এসইও অনেক সময় মনে হয়, ভাগ্যের
ওপর সবকিছু দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না। কারণ আপনি অনেক সময় বুঝতেও পারেন না, কেন আসলে
আপনার কন্টেন্ট যাঙ্ক হয়ে আছে। কারণ হতে পারে, আপনি র্সাচ ইঞ্জিন কীভাবে কাজ করে তা
সর্ম্পকে আইডিয়া রাখেন না। র্সাচ ইঞ্জিনগুলো কেন প্রতিষ্ঠিত হলো তা সর্ম্পকে যদি ভালো
আইডিয়া থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজে ধরতে পারবেন র্সাচ ইন্টেন্ট, রিলিভেন্সি,কন্টেন্ট
কোয়ালিটি, লিংকস কী। কারণ এই রকম অনেক ম্যাট্রিক্স-এর মাধ্যমে র্সাচ ইঞ্জিন যাঙ্ক নির্ধারণ
করে থাকে যা ইউজারের প্রশ্নের বিপরীতে সঠিক উত্তর দিতে পারে না।
৪। কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি সর্ম্পকে আইডিয়া রাখা:
এই র্পাটটি অবশ্যই খুবই গুরুত্বর্পূণ। আমাদের মাঝে অনেকে সাইট শুরু করে দিই কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি ছাড়াই। অথচ গুগল কিন্তু কন্টেন্ট বেইডস র্সাচ ইঞ্জিন। এখানে কন্টেন্ট এর বিচারে সবকিছু হয়। গুগলের হামিংর্বাড, যাঙ্ক ব্রেইন আসার পর থেকে সবাই বুঝে গেছে যে আসল প্রায়োরিটি ইউজারকে দিতে হবে। আপনার কন্টেন্ট যত বেশি ইউজারকে ভ্যালু দিতে পারবে তত বেশি আপনার অ্যাঙ্গেজমেন্ট বাড়বে।
৫। টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে আইডিয়া রাখা:
টেকনিক্যাল এসইও আপনার সাইটকে আরও ভালোভাবে বুঝাতে সক্ষম হবে গুগলের নিকট। ফলে গুগল আরও ভালোভাবে সবকিছু ক্রল এবং ইনডেক্স করতে পারবে। এছাড়াও টেকনিক্যাল স্কিলের মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইট মোবাইলের জন্য কতটা উপযুক্ত, সাইট স্পিড, স্ট্রাকচার ডেটা, জাবাস্ক্রিপ্ট সহ আরও অনেক কিছু। টেকনিক্যাল এসইওর মাধ্যমে ফিচার স্নিপেট ব্যবহার করে অনেকে খুব সহজে জিরোতে যাঙ্ক করতে পারে বলে নজির রয়েছে।
৬। SERP-এ ভালোমতো নজর রাখা:
র্সাপ বা র্সাচ
ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ হলো আপনি যখন গুগলে কোনো প্রকার র্সাচ করেন তা যেখানে দেখায়
তা-ই র্সাপ। যেমন আপনি কেলার স্কোর জানতে চাইলে গুগল একরকম ফরম্যাট শো করবে
রেজাল্ট। আপনি যদি প্রোডাক্ট সর্ম্পকে আইডিয়া নিতে চান, তাহলে অন্য ভাবে দেখতে
হবে। অথবা টপ টেন কিছু জানতে চান, তাহলে স্নিপেটে দেখাবে সর্ট্ করে।
কম্পিউটার ও টেকনোলজি শিখুন ফ্রি-তে এখানে ক্লিক করে
৭। প্রতিদিনই এসইও নিয়ে অল্প অল্প পড়াশুনা করা:
এসইও এমন একটি
ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে সবকিছু দ্রুত পরিবর্তিত হয়। যেসকল ট্রিক্স দিয়ে আপনি ট্রাফিক
জেনারেট করতে পারতেন, তা এখন আর কাজ নাও করতে পারে। যেহেতু গুগল সবসময় তাদের কোর
আপডেটগুলো নিয়ে আসে, সেহেতু এই ইন্ডাস্ট্রি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়।
৮। গুগল র্সাচ কনসোল এবং অ্যানালিটিক্স নিয়ে আইডিয়া রাখা:
গুগল র্সাচ কনসোল
এবং গুগল অ্যানালিটিক্স এক প্রকার ফান্ডামেন্টাল টুলস এসইও-এর জন্য। কারণ এই দুটো
টুল দিয়ে এসইও এর যাবতীয় অনেক কাজ করা যায়। বিশেষ করে গুগল র্সাচ কনসোল এর মাধ্যম
আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে ক্রল করতে সুযোগ করে দেওয়া, এবং সেগুলো সর্বদা মনিটরিং
করা সম্ভব হয়। এছাড়াও আরও নানান রকম ফান্ডামেন্টাল
কাজ এই র্সাচ কনসোলার মাধ্যমে সম্পাদন করা যায়। আর অপরদিকে গুগল অ্যানালিটিক্স-এর
কাজ হলো সবকিছু সঠিকভাবে পরিমাপ করতে সাহায্যে করা। অর্থাৎ আপনার সাইটে কতগুলো ট্রাফিক
আসছে, কতক্ষণ যাবত অবস্থান করছে, কোন দেশ থেকে আসছে, কেন পেইজ গুলো বেশি বেশি ভিউ
হচ্ছে ইত্যাদি আপনি খুব সহজে পরিমাপ করতে পারবেন। একজন এসইও এক্সর্পাট হতে হলে
আপনাকে অবশ্যই এই দুটো টুলে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৯। ওর্য়াডপ্রেস শেখা:
বিশ্বে যতগুলো ওয়েবসাইট
ক্রিয়েট হয়, তার মধ্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ওয়েবসাইট তৈরী হয় ওর্য়াডপ্রেসে। আর
ওর্য়াডপ্রেসের বেশকিছু প্লাগইন ব্যবহার করা যায়, যা আপনার ওযেবসাইটের কাজকে আরও
বেশি সহজ করে তুলবে। এছাড়াও এসইওর ক্ষেত্রেও ওর্য়াডপ্রেসের ভালো সুনাম রয়েছে। কারণ
ওর্য়াডপ্রেস সিএমএস বেশ এসইও ফ্রেন্ডলি।
১০। গুগল কোয়ালিটি রির্ডাস গাইডলাইন সর্ম্পকে আইডিয়া রাখা:
গুগল সবকিছু রোবট দিয়ে নির্ধারণ করে না। তারা ম্যানুয়ালি চেক করার জন্য অনেক লোককে হায়ার করে। এই সকল লোকজন আপনার সাইটে প্রবেশ করে ম্যানুয়ালি একটা রেটিং দিতে, আসলে সাইটটি সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি কিনা।
অথবা E-E-A-T ফলো
করেছে কিনা।
এই E-E-A-T হলো:
E= Experience
E= Expertise
A=
Authoritativeness
T= Trustworthiness
কম্পিউটার ও টেকনোলজি শিখুন ফ্রি-তে এখানে ক্লিক করে
আশা করছি আজকের আর্টিকেল- “অভিজ্ঞ ও প্রফেশনাল SEO এক্সপার্ট হওয়ার গাইডলাইন” উপকৃত করতে পেরেছে।
উল্লিখিত
তথ্য অনলাইন ও নিজের জানাশোনা থেকে-
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।