আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!
সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানিয়ে সবার জন্য ব্লগ-এর স্বাস্থ্যকথায় আজ যোগ করছি, “কচুর প্রকারভেদ ও কচু শাকের স্বাস্থ্য কথা”
কচুর প্রকারভেদ ও কচু শাকের স্বাস্থ্য কথা । Types of kachu and health of kachu vegetables |
কথায়
বলে আয়রণের ঘাটতি মেটাতে চাইলে বেশি করে কচু খাও। কচু নামক সবজিকে চিনিনা এমন
মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে এটা ঠিক যে, কত ধরনের
কচু পাওয়া যায় সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। কচু অনেক ধরনের হয়ে থাকে। আজকে
বিস্তারিত জানাবো কচুর প্রকারভেদ ও কচু শাকের উপকারিতা।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
কচুর প্রকারভেদ :
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের
কচু পাওয়া যায়, যেমন :
১. বন কচু।
২. মান কচু।
৩. ওল কচু।
৪. বিষ কচু।
৫. মুখী কচু।
৬. কাঁটা কচু।
৭. শোলা কচু।
৮. সাল কচু।
৯. মোকাদ্দম কচু।
১০. দুধ কচু।
১১. ঘেঁটু কচু।
১২. রক্ত কচু।
১৩. পঞ্চমুখী কচু।
১৪. মৌলবী কচু।
১৫. ছাতি কচু।
১৬. গাঢ় কচু, ইত্যাদি।
কচু শাকের পুষ্টিগুণ :
কচু
শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে
পাওয়া যায়- শর্করা ৬.৮ গ্রাম,
প্রোটিন ৩.৯ গ্রাম, আয়রণ ১০ মিঃগ্রাম, ভিটামিন বি১
(থায়ামিন) ০.২২
মিঃগ্রাম, ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাবিন)০.২৬
মিঃগ্রাম, ভিটামিন সি ১২ মিঃগ্রাম, স্নেহ বা চর্বি ১.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২২৭ মিঃগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৫৬
কিলোক্যালরি।
কচু শাকের স্বাস্থ্যকথা :
·
কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ বিদ্যমান, যা
খাবারকে সহজে হজম করার কাজে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের
জন্য কচু শাক অত্যন্ত উপকারি।
· আমাদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে কচ শাকের ভূমিকা
অপরিসীম। এই শাকের আয়রণ ও ফোলেট রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, ফলে অক্সিজেন সংবহন পর্যাপ্ত
থাকে। এতে থাকা ভিটামিন কে রক্তপাতের সমস্যা রোধ করে।
· কচু শাকের অন্যতম উপকারিতা হচ্ছে, এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ফসফরাস মানব দেহের দাঁত ও হাড়ের গঠনে এবং
ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
· এই
শাকে ভিটামিন সি থাকায় এর লৌহ উপাদান আপনার দেহে সহজে আত্মীকরণ হযে যায়। তাছাড়া
ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোটবেলা থেকেই কচু শাক
খাওয়ারো উচিৎ।
·
কচু শাকে থাকা প্রচুর পরিমাণ আয়রণ রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের
অন্যতম পথ্য হিসেবে কাজ করে। তাই একরকম বললেই চলে, এসব রোগীদের কচু শাক খাওয়া
বাধ্যতামূলক।
· কচু শাকে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা, চোখে ছানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি
পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগের প্রতিশেষক হিসেবে কাজ করে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে
তোলে।
· কচু শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরল কমে, তাই উচ্চরক্তচাপ রোগীদের জন্য
কচুশাক, কচু খুব উপকারি। নিয়মিত কচুশাক খেলে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের
ঝুঁকিও কমে।
পরিশেষে বলব, আল্লাহর
সৃষ্টি নিয়ামতের শেষ নেই। আমরা না খুঁজে অন্ধের মতো অজানার উদ্দেশ্যে হাত বাড়ায়,
অথচ সামান্যতম সচেতন হলে বিধাতার দেওয়া লক্ষ কোটি নিয়ামত থেকে কিছু কিছু সেবন বা
ভোগ করলেই শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব খুব ভাল থাকতে পারি। সেসব নিয়ামতের মধ্যে কচু
বা কচু শাক অন্যতম। আসুন কচু ও কচু শাক খাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে। ভাল থাকুন আর
ভাল রাখুন, আল্লাহুতায়ালার শোকর আদায় করুন।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।