আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!
সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানিয়ে সবার জন্য ব্লগ-এর স্বাস্থ্যকথায় আজ যোগ করছি, “উপকারিতা জেনে সিদ্ধান্ত নিন কচুর লতি কেন খাবেন”
উপকারিতা জেনে সিদ্ধান্ত নিন কচুর লতি কেন খাবেন । Knowing the benefits, decide why you should eat kachu lati |
আমাদের
দেশে নানা ধরনের কচুর লতি পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের কচু থেকে নানা রকমের কচুর লতি
পাওয়া যায়, যা মজা করে খেয়ে থাকে অনেকেই। মূল কথা কচুর
লতি যে খাওয়া যায় এটাই অনেকে জানে না। তবে যারা একবার খেয়েছে তারা নিশ্চিত করেই
বারবার খেতে চায়, বিশেষ করে যারা শুটকি খেতে পছন্দ করে
তাদের কাছে শুটকি মাছ দিয়ে কচুর লতির বিভিন্ন ধরনের রেসিপি অনন্য। তাই পরবর্তী
সময়ে বাজারের ব্যাগে মাথা উঁচু জায়গা পায় লকলকে চকচকে সবুজ রঙের কচুর লতি। কচুর
লতি নিয়ে আজ তথ্যভিত্তিক আর্টিকেল থাকছে, “উপকারিতা
জেনে সিদ্ধান্ত নিন কচুর লতি কেন খাবেন”
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
জেনে রাখি, কচুর লতির পুষ্টিগুণ :
কচুর
লতিতে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, লোহা, ভিটামিন
বি ও ভিটামিন সি।
·
কচুর লতি আঁশ দেহ থেকে
বর্জ্য বের করে দেয়।
·
খাবার হজমে সাহায্য করে।
·
যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান
তারা কচুর লতি খেতে পারেন।
· কচুর মূখী বা কচুর চেয়ে কচুর
লতিতে শর্করার পরিমাণ কম। ফলে যারা শর্করা পরিহার করে চলতে চান তারা কচুর লতি খান।
·
এতে ক্যালসিয়াম থাকায় হাড়ের
গঠন মজবুত করে।
· এছাড়াও লতিতে থাকা আয়োডিন ও
ভিটামিন বি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
·
ভাল রাখে ত্বক ও চুল।
·
এতে থাকা ভিটামিন সি মানবদেহের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
·
আর এ কথা বলায় বাহুল্য যে, কচুর লতিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে লৌহ বা আয়রণ শরীরের রক্তশূন্যতা দূর
করতে অতুলনীয়। তাই যারা রক্তশূন্যতায় ভোগেন তাদের জন্য কচুর লতি খাওয়া একরকম
বাধ্যতামূলক।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
কচুর লতির স্বাস্থ্য
উপকারিতা :
Ø কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। শিশুদের
বেশি তেলে রান্না করে খাওয়ালে রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমে যায় বহুলাংশে।
Ø কচুর লতি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
Ø কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ফাইবার
ও থায়ামিন বিদ্যমান, ফলে শারীরিক নানা রোগের প্রতিরোধক
হিসেবে কাজ করে থাকে।
Ø গরমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়, কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকায় সে ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়ে যায়। তাই
খাদ্য তালিকায় কচুর লতি রাখা উচিৎ।
Ø কচুর লতিতে থাকা খাদ্যআঁশ হজমে সহায়ক। দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ
বের করে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যতা রোধে সহজ করে।
Ø যারা মুটিযে গেছেন বা যাচ্ছেন, তারা
নিরাপদে কচুর লতি খেতে পারেন। এতে থাকা উপাদান দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
Ø খাদ্য শর্করায় যাদের সমস্যা, তারা
কচুর লতি খেতে পারেন, কারণ এতে শর্করার পরিমাণ খুবই কম।
Ø কচুর লতিতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের যত্ন নেয় এবং হাড় গঠনে
ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
Ø কচুর লতিতে থাকা খাদ্য উপাদান মস্তিষ্কের যত্ন নেয়। ভিটামিন বি
ও আয়োডিন মস্তিষ্ক ভাল রাখার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়।
Ø কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন সি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়।
Ø রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীরা কচুর লতি খেলে ভীষণ উপকৃত হবেন। এতে
থাকা খাদ্য উপাদান রক্তশূন্যতা দূর করে।
Find out all the news from here
Learn more health tips and lifestyle here
কচুর লতির স্বাস্থ্য অপকারিতা :
· অনেকের
অনেক ক্ষেত্রে কচু বা কচুর লতি খেলে শরীরে চুলকানি দেখা দেয়। অর্থ্যাৎ এলার্জি সমস্যায়
পড়তে হয়। এ সমস্যায় পড়লে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
· কচু
বা কচুর লতিতে রয়েছে অক্সলেট। তাই রান্নার পরও গলা চুলকাতে থাকে, তবে এটা সাময়িক। খাওয়ার
সময় লেবুর রস চিপে মিশিয়ে নিলে এ সমস্যা থাকে না। তারপর কারো বেশি চুলকাচ্ছে মনে হলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারবেন।
· যাদের
ডায়াবেটিক, হৃদরোগ ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় আক্রান্ত বা উচ্চ রক্তচাপে
(High Blood Pressure) ভূগছেন, তারা কচুর লতির তরকারি খেতে চিংড়ি ও শুটকি বর্জন করুন।
বরাবরের মতো স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কোনো কিছুই অতিরিক্ততা ভাল না।
নিয়ম মেনে চলুন এবং অন্যকে নিয়ম মানতে পরামর্শ দিন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলুন, সচেতন
হোন। সূস্থ্য থাকুন, সবাইকে ভাল রাখুন।
0 মন্তব্যসমূহ
Always stay connected with SOBAR JONNO BLOG
সবসময় যুক্ত থাকুন সবার জন্য ব্লগের সাথে।