ঢেঁড়শ খেলে মুক্তি মেলে । lady's finger is released by playing

 

আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!

সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানিয়ে সবার জন্য ব্লগ-এর স্বাস্থ্যকথায় আজ যোগ করছি, ঢেঁড়শ খেলে মুক্তি মেলে

 

ঢেঁড়শ এর উপকারিতা, ঢেঁড়সের ঘরোয়া রেসিপি, ঢেঁড়শের ঔষধী গুণ, কি কারণে কখন ঢেঁড়স খাবেন, ঢেঁড়সের ভাজি তরকারি, ঢেঁড়সের ডাক্তারি গুন, সবুজ ফলের সবজি ঢেঁড়স
ঢেঁড়শ খেলে মুক্তি মেলে । lady's finger is released by playing

ঢেঁড়শ সারা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে একটি জনপ্রিয় ফলের সবজি ঢেঁড়শের ফল সবজি হিসেবে ব্যবহার হয় কাঁচা অবস্থাতেই ফল পেড়ে নেওয়া হয় ঢেঁড়শ ভর্তা, ভাজি, তরকরি হিসেবে খাওয়া হয় অনেকেই কচি ঢেঁড়শ কাঁচা চিবিয়ে খেতে ভালবাসেন অনেক পুষ্টিগুণেরে এই সবজিটির তুলনা হয় না ঔধষী গুণে ভরা জনপ্রিয় ঢেঁড়স মানবদেহের নানা উপকার করে থাকে আজ লিখছি এই ঢেঁড়স নিয়ে সংক্ষেপে বিস্তারিত

 Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here


ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুণ :

যেসব সবজি সবচেয়ে বেশি খরা ও তাপ সহ্য করতে পারে, তাদের মধ্যে ঢেঁড়শ অন্যতম এর ভেতরে পিচ্ছিল পদার্থ থাকে, ফলে রান্না করার পরে পিচ্ছিল পদার্থ বেরিয়ে আসে বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই সবজি আয়োডিনের অভাবে হওয়া সৃষ্ট গলগন্ড রোগ ও মস্তিষ্ক এবং হৃদপিন্ড দূর্বলতা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরি প্রতিটি ঢেঁড়শে রিবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, টমেটো ও শিমের থেকেও বহুগুণে বেশি এছাড়াও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, শুকনো কাশিতে ঔষধ হিসেবে কাজ করে এ সবজিটি ভিটামিন এ বি সি ও লৌহসমৃদ্ধ

প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী অংশে পাওয়া যায়- আমিষ ১.৮ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯০ মিলিগ্রাম, লোহা ১ মিলিগ্রাম ও প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন আছে এছাড়াও আছে, ক্যারোটিন, ফলিক অ্যাসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড

 

ঢেঁড়সের কাজ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা :

·      কোলেস্টেরল কমায় :

ঢেঁড়সে থাকা সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন রক্তের বাজে কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমে যায় এবং অ্যাথেরোসক্লোরেসিস প্রতিরোধ করে।

·      গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের যত্ন নেয় :

গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের যত্নের জন্য ঢেঁড়শ ভালো। ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঢেঁড়স গর্ভকালিন মিসক্যারেজ প্রতিরোধ করে।

·      ত্বকের যত্ন নেয় :

ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ঢেঁড়শ শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে সাহায্য করে, এছাড়াও ত্বকের ব্রণ তাড়াতে স্কীণ কেয়ার হিসেবে কাজ করে।

·      শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করে :

এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। এই উপাদান অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে।

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

·      কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় :

কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ঢেঁড়স। এতে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।

·      রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে :

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানে সমৃদ্ধ ঢেঁড়শ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যহারে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন : ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে, যেসব উপাদানও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

·      খাদ্য হজম সহজ করে :

যেসব খাবারে উচ্চমাত্রার আঁশ থাকে, সেসকল খাবার হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। ঢেঁড়শে উচ্চমাত্রার আঁশ বিদ্যমান, তাই খাবারকে সহজে হম করে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

·      দৃষ্টি ভাল রাখে :

বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, লিউটিন এই খাদ্য উপাদানগুলো চোখের গ্লুকোমা, চোখের ছানি প্রেতিরোধ করে। ঢেঁড়শে এইসব উপাদান থাকায় ঢেঁড়স খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে।

·    চুলের যত্ন নেয় :

এতে থাকা উপাদান চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া্ও মাথার খুশকি দূর করে শুষ্ক মাথার ত্বক ভাল রাখে।

·     বিষন্নতা ও দূর্বলতা দূর করে :

বিষন্নতা, অবসাদ ও দূর্বলতা কাটাতে ঢেঁড়স কার্যকরি। যাদের শারীরিক দূর্বলতা আছে, তারা ঢেঁড়শ খেলে এ থেকে মুক্তি পাবেন।


Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here 


এতক্ষণে হয়তো বোঝা গেল, আল্লাহর দেওয়া এই নেয়ামত কতটা উপকারি। তাই মৌসুমী এই সবজিটে ভাজি, তরকারি, কাঁচা চিবিয়ে যে যেভাবে পারেন খান। বহু ধরনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ! নিজে ভাল থাকুন, অপরকে ভাল থাকতে পরামর্শ দিন। আজ ছাড়ছি, কথা হবে অন্য কোনো লেখাতে।


আশা করছি, ঢেঁড়শ খেলে মুক্তি মেলে লেখাটি দ্বারা কিছু তথ্য উপস্থাপন করতে পেরেছি

Find out all the news from here

Learn more health tips and lifestyle here

নিজে জেনে অন্যকে জানতে শেয়ার করুন, মন্তব্য লিখুন আর সবার জন্য ব্লগ এর সঙ্গেই থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ